নাটোরে পাশাপাশি কবরে চিরশায়িত হলেন সেই মা-মেয়ে

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) জোহরের পর নাটোরের বড়গাছা এলাকায় নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়া স্বজনরা বারবারই জানতে চেয়েছেন, কি কারণে এমন নিষ্ঠুর হত্যার শিকার হতে হলো মা-মেয়েকে তারা ওই হত্যা রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি হত্যাকারীর গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। নিহত মা মেয়ে হলেন লায়লা আফরোজ (৪৮) এবং ১৫ বছর বয়সি মেয়ে নাফিসা। নাফিসা ঢাকার মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং মা গৃহিণী। বাবা এ জেড আজিজুল ইসলাম পলাশ ঢাকা উত্তরার সানবিমস স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। তারা নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকার বাসিন্দা। গত ১০-১২ বছর থেকে তারা মোহাম্মদপুরের ভাড়া থাকতেন। তথ্যমতে, ৪দিন আগে বাসায় কাজের জন্য আসে এক তরুণী। সে ওই বাসায় অস্থায়ী গৃহকর্মী হিসাবে যোগ দেয়। নিজকে আয়েশা পরিচয় দিয়ে জানিয়েছে, তার গ্রামের বাড়ি রংপুর। জেনেভা ক্যাম্পে চাচা-চাচির সঙ্গে থাকেন। বাবা-মা আগুনে পুড়ে মারা গেছে, তার শরীরেও আগুনে পোড়ার ক্ষত ছিল। ঘটনার দিন গতকাল সোমবার সকাল ৭টার দিকে স্কুলে যান পলাশ। এরপর বাসায় আসে গৃহকর্মী আয়েশা। নিরাপত্তাকর্মী

নাটোরে পাশাপাশি কবরে চিরশায়িত হলেন সেই মা-মেয়ে

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) জোহরের পর নাটোরের বড়গাছা এলাকায় নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়।

এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়া স্বজনরা বারবারই জানতে চেয়েছেন, কি কারণে এমন নিষ্ঠুর হত্যার শিকার হতে হলো মা-মেয়েকে তারা ওই হত্যা রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি হত্যাকারীর গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

নিহত মা মেয়ে হলেন লায়লা আফরোজ (৪৮) এবং ১৫ বছর বয়সি মেয়ে নাফিসা।

নাফিসা ঢাকার মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং মা গৃহিণী। বাবা এ জেড আজিজুল ইসলাম পলাশ ঢাকা উত্তরার সানবিমস স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক।

তারা নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকার বাসিন্দা। গত ১০-১২ বছর থেকে তারা মোহাম্মদপুরের ভাড়া থাকতেন।

তথ্যমতে, ৪দিন আগে বাসায় কাজের জন্য আসে এক তরুণী। সে ওই বাসায় অস্থায়ী গৃহকর্মী হিসাবে যোগ দেয়।

নিজকে আয়েশা পরিচয় দিয়ে জানিয়েছে, তার গ্রামের বাড়ি রংপুর। জেনেভা ক্যাম্পে চাচা-চাচির সঙ্গে থাকেন। বাবা-মা আগুনে পুড়ে মারা গেছে, তার শরীরেও আগুনে পোড়ার ক্ষত ছিল।

ঘটনার দিন গতকাল সোমবার সকাল ৭টার দিকে স্কুলে যান পলাশ। এরপর বাসায় আসে গৃহকর্মী আয়েশা। নিরাপত্তাকর্মী খালেক তাকে ভেতরে যেতে দেন। কিন্তু বের হওয়ার সময় স্কুলড্রেস পরে যাওয়ার সময় তার মুখে মাস্ক থাকায় গেটে দায়িত্বরত থাকা খালেক চিনতে পারেননি।

গেট থেকে বের হওয়ার পর তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে, সে সপ্তম তলার ‘৭বি’ ফ্ল্যাটে থাকে বলে চলে যায়।

পলাশের বোন জানান, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পলাশ বাসায় ফিরে নক দিয়েও কোন সাড়া না পেয়ে দেখেন দরজা খোলা। ভেতরে যেতেই দেখেন মেয়ে রক্তাক্ত। এরপর স্ত্রীকেও রক্তাক্ত পান। তার চিৎকারে ৮ম তলার একজন ছুটে আসেন। এরপর দুই কেয়ারটেকারের সহায়তায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ ফ্ল্যাট থেকে দুটি চুরি জব্দ করে। বাড়ির পাহারাদারকে আটক করে।

নাটোর বড়গাছা এলাকার সাবেক কাউন্সিলার ও পলাশের প্রতিবেশী এনামুর রহমান চিনু জানান, একজন গৃহকর্মী একা দুইজনকে হত্যা করল বিষয়টি মেনে নেয়া কঠিন। তার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা দরকার।

নিহতের স্বজনদের দাবি, ওই বাড়ির সব ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজ এবং আশে পাশের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা দরকার। হত্যাকারী গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow