নাটোরের বড়াইগ্রামে বিএনপির দুগ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে ও রাতে উপজেলার আহম্মেদপুর নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের নাজমুল হুদা রাজ, বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুর নওপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান, আরিফুল ইসলাম, বাবু, শফিকুল ইসলাম এবং শরিফুল ইসলামকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আর কায়েমকোলা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও জয়েন উদ্দিনকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামকে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, জোয়াড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলহাস উদ্দিন সমর্থিত নওপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মুন্সী ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল হোসেন সমর্থিত শহীদুল ইসলামের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার বিকেলে এ ব্যাপারে মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠক বসে। সালিশের একপর্যায়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে শহীদুল ইসলাম ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করলে আব্দুর রশিদ মুন্সীর পাঁচ সমর্থক আহত হন। পরে রাত আটটার দিকে জুলহাস উদ্দিনের সমর্থকরা একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুলাল হোসেনের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে আরও ছয়জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষেই পৃথক পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।