ভুল চিকিৎসার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে নাটোরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিককে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের চিকিৎসা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের কানাইখালীতে অবস্থিত আল-হেরা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উপস্থিত হয়ে এই নির্দেশনা দেন তিনি।
সিভিল সার্জন ডা. মুক্তাদির আরেফীন জানান, গত ২৭ জুলাই নাটোরের একডালা নারায়নপুরের বাসিন্দা গার্মেন্টস কর্মী মানিক মিয়া শহরের কানাইখালীর আল-হেরা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তলপেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন। ওই দিনই হাসপাতালটির মালিক ডা. শামিম উদ্দিন এক সহযোগী নিয়ে তার অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করেন। পরে সপ্তাহখানেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। এর মধ্যে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে রোগীর স্বজনরা রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে আল-হেরা হাসপাতালটির ভুল চিকিৎসার বিষয়টি ধরা পড়ে। তখন থেকেই মানিক মিয়া সহায়সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল চিকিৎসার বিষয়টি লেখার কারণে রোগীর স্বজনদের হুমকি ধামকিও দেন ডা. শামিম উদ্দিন। পরবর্তীতে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ ও ভুল চিকিৎসার প্রাথমিক সত্যতা মেলায় আল-হেরা হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নাটোর ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা রোগীর জন্য ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছেন ও আল-হেরা হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালটির মালিক ডা. শামিম উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।
রেজাউল করিম রেজা/এমএন/এএসএম