নানা আয়োজনে পঞ্চগড় মুক্ত দিবস পালিত
নানা আয়োজনে পঞ্চগড় মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) শ্রদ্ধাঞ্জলি, স্মৃতিচারণ, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়। সকালে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর সেখান থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একাত্তরের বধ্যভূমিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চগড় মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, পঞ্চগড় জেলাকে মুক্ত করার যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর প্রায় ২৫০ জন হতাহত হন। পাকসেনাদের মধ্যেও ২০০ জন হতাহত হয়। ২৭ জনকে জীবিত অবস্থায় আটক করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী সারাদেশে গণহত্যা-নির্যাতন শুরু করলেও, প্রথমদিকে পঞ্চগড় অঞ্চল হানাদার মুক্ত ছিল। তবে ১৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাকিস্তানি বাহিনী সড়কপথে পঞ্চগড় দখল করে। তখন তালমা, অমারখানা, তেঁতুলিয়
নানা আয়োজনে পঞ্চগড় মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) শ্রদ্ধাঞ্জলি, স্মৃতিচারণ, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়।
সকালে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর সেখান থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একাত্তরের বধ্যভূমিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চগড় মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, পঞ্চগড় জেলাকে মুক্ত করার যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর প্রায় ২৫০ জন হতাহত হন। পাকসেনাদের মধ্যেও ২০০ জন হতাহত হয়। ২৭ জনকে জীবিত অবস্থায় আটক করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী সারাদেশে গণহত্যা-নির্যাতন শুরু করলেও, প্রথমদিকে পঞ্চগড় অঞ্চল হানাদার মুক্ত ছিল। তবে ১৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাকিস্তানি বাহিনী সড়কপথে পঞ্চগড় দখল করে। তখন তালমা, অমারখানা, তেঁতুলিয়া ও আশেপাশের অঞ্চলে মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ গঠন করেছিল। তেঁতুলিয়া সড়কের অমরখানায় চাওয়াই নদীর ওপর একটি ব্রিজ ভেঙে দেওয়ায় পাকসেনারা তেঁতুলিয়ায় ঢুকতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়কাল তেঁতুলিয়া ছিল পাক হানাদার মুক্ত। মুক্ত অঞ্চল হিসেবে তেঁতুলিয়ায় তৎকালীন অস্থায়ী সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
১ নভেম্বর থেকে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় মিত্র বাহিনী নানা কৌশল অবলম্বনের পর ২০ নভেম্বর থেকে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণ শুরু করে। যৌথ বাহিনীর তীব্র আক্রমণে ২৫ নভেম্বর জগদলহাট, ২৬ নভেম্বর শিংপাড়া, ২৭ নভেম্বর পূর্ব তামলা এবং শেষ পর্যন্ত ২৮ নভেম্বর রাতে পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শহরের পাক ক্যাম্পগুলো ভেঙে পড়ে। ২৮ নভেম্বর রাতে পাকবাহিনী পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও নীলফামারীর ডোমার হয়ে সৈয়দপুরের দিকে পিছু হটতে থাকে। এভাবে ২৯ নভেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা পঞ্চগড় শহরে ঢুকে পড়েন এবং পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত হয়।
সফিকুল আলম/আরএইচ/জেআইএম
What's Your Reaction?