নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

নানা আয়োজনে ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এ উপলক্ষে কেক কাটা, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া, ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনসহ নানা আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুরুতে সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।  একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় আবাসিক হলসমূহে জাতীয় পতাকা ও হলো পতাকা উত্তোলন করেন নিজ নিজ হলের প্রাধ্যক্ষরা। পরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে তিনি উপস্থিত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন উপাচার্য। কেক কাটা শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ, বিভিন্ন দপ্তর, হল, ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিভিন্ন শ

নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

নানা আয়োজনে ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এ উপলক্ষে কেক কাটা, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া, ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনসহ নানা আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুরুতে সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। 

একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় আবাসিক হলসমূহে জাতীয় পতাকা ও হলো পতাকা উত্তোলন করেন নিজ নিজ হলের প্রাধ্যক্ষরা। পরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে তিনি উপস্থিত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন উপাচার্য।

কেক কাটা শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ, বিভিন্ন দপ্তর, হল, ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিভিন্ন শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন অংশগ্রহণ করে। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে শেষ হবে। পরে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য। এ সময় একে একে অন্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ^বিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. আলীনূর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে ফিরুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এখানে ছাত্র সমাজ যেন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামি শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায় সমানভাবে রেসপন্ড করতে পারে। এজন্যে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আমরা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পুরোনো সমঝোতা স্মারকগুলো সচল করার পাশাপাশি নতুন নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভিত্তি হলো শিক্ষণ, টিচিং এবং রিসার্চ। অনেকেই রিসার্চের কথা বলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে বিশ্বেও উন্নত দেশগুলোতে যে হারে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয় সে তুলনায় আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট খুব অপর্যাপ্ত। তারপরেও সোর্স তৈরি করার চেষ্টা করবো যাতে আমাদের এই রিসার্চ বাজেটটি অগ্রসর হয়।

ইকসু বিষয়ে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ড্রাফ্‌ট করে আমরা ইউজিসিতে জমা দিয়েছি। আশা করছি দুই মাসের মধ্যে এটি পূর্ণতা পাবে। 

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow