জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ঈমাম মো. ছালাহ উদ্দিনকে নামাজ পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আইনুল ইসলাম মৌখিকভাবে তাকে এ অনুমতি দেন।
এ বিষয়ে ইমাম ছালাহ উদ্দিন বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. আইনুল ইসলাম আমাকে ডেকেছিলেন। তিনি বলেছেন, যেহেতু আপনাকে মৌখিকভাবে নামাজ না পড়াতে বলা হয়েছিল। এখন আপনি আপনার মতো দায়িত্ব পালন করুন।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. আইনুল ইসলাম বলেন, ঈমাম ছালাহ উদ্দিন আগের মতো নামাজ পড়াবেন। তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নারীদের নামাজ পড়ার স্থানে ১৮ মে রাতে এক ছাত্রী ঘুমিয়ে পড়েন। এ ঘটনায় দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এনে মসজিদের ঈমাম মো. ছালাহ উদ্দিনকে নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও করা হয়।
আরও পড়ুন:
- জবির মসজিদে ছাত্রীর ঘুম, কী ঘটেছিল সেই রাতে?
- ৩৪ নেতার মধ্যে সক্রিয় পাঁচজন!
- নারীরা কি মসজিদে নামাজ পড়তে পারবে?
- ঢাকার যেসব মসজিদ ও স্থাপনায় নামাজ পড়তে পারবে নারীরা
ঘটনার বিষয়ে জবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন শফিকুল ইসলাম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৮ মে মসজিদে নারীদের নামাজ পড়ার স্থানে এশার নামাজ পড়তে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। অসুস্থবোধ করায় সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। রাত ১০টার একটু পরে মুয়াজ্জিন লক্ষ্য করেন নারীদের নামাজ পড়ার স্থানে কেউ একজন আছেন। তখন বিষয়টি তিনি ইমামকে জানান।
এরপর দুজন সিকিউরিটি গার্ডের মাধ্যমে ছাত্রীকে ডেকে তোলা হয়। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান ইমাম। তিনি প্রক্টরকে ফোন করে বিষয়টি জানান। ওই ছাত্রী ইমামকে জানান, তিনি জবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের আবাসিক ছাত্রী। ইমাম হলের হাউজ টিউটর সাজিয়া আফরিনের সঙ্গে ওই ছাত্রীকে কথা বলিয়ে দেন এবং তাকে হলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
আরএএস/জেডএইচ/এএসএম