জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, গত ১৬ বছর নামের কারণেই বৈষম্যের শিকার হয়েছে বগুড়া। বগুড়া নিয়ে আমাদের অনেক কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে বগুড়ায় একটা প্রোগ্রাম করার কথা ভাবছি। ইয়াং জেনারেশনকে নিয়ে অনেক বড় একটি প্রোগ্রাম করা হবে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বগুড়া শহরের মালতিনগর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় ব্যক্তিগত সফরে গিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস বলেন, অভ্যুত্থান চার মাস হয়ে গেল। এই চার মাসে সত্যি কথা বলতে প্রত্যাশা যতটুকু ছিল ততটা পূরণ হয়নি। কারণ ৫ আগস্টে এত জীবন এত রক্তের বিনিময়ে যে নতুন একটা স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সেটার প্রত্যাশার পারদ ছিল সর্বোচ্চ লেভেলে। কিন্তু সেই লেভেল পূরণ করা আদৌও সম্ভব কিনা তা আমি জানি না।
তিনি বলেন, ভারত যদি মনে করে বিগত ১৬ বছর যেভাবে আওয়ামী লীগকে নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশকে শুষে নিয়েছে, সেই সুযোগ বাংলাদেশের জনগণ আর দেবে না। বাংলাদেশে মানুষ এখন শতভাগ ঐক্যবদ্ধ। ভারতের কিছু মেরুদণ্ডহীন মিডিয়া সাম্প্রদায়িক প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু মিডিয়ার মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হিসাব মতে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের যে ১৬টি জেলা আছে তার মধ্যে অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ত্যাগ স্বীকার করেছে বগুড়া। এই ১৬ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শহীদ ও আহত হয়েছে বগুড়ার মানুষ। সেই সঙ্গে সবচেয়ে রক্তাক্ত এবং রক্ত দিয়েছে এই বগুড়া জেলার মানুষ। সে জায়গা থেকে আমাদের আলাদা একটা দায়বদ্ধতা আছে।