ঋতু পরিক্রমায় হেমন্ত তথা কার্তিক ও অগ্রহায়ণ থেকেই আগমনি বার্তা দিতে থাকে শীত। বিশেষ করে কার্তিকে রাতের শেষ প্রহরে কিছুটা শীত অনুভব হয়। আর প্রতি বছরই এই সময়টাতে লেপ-তোষকের দোকানে ভিড় বাড়তে থাকে।
কিন্তু এবছর এখনও তেমন ভিড় দেখা যায়নি লেপ তোষকের বাজারে। নারায়ণগঞ্জের লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে যেন ক্রেতার দেখা মিলছে না। দোকান মালিক ও কারিগররা দোকানে বসে অলস সময় পার করছেন।
যদিও গত কয়েক বছর ধরেই এই অবস্থা চলমান রয়েছে। এখন লেপ-তোষকের থেকে কদর বেড়েছে কম্বল-ম্যাট্রেসের। যার কারণে আগের মতো লেপ-তোষক বিক্রি হয় না। এরপরও প্রতি বছর এ সময়ে কিছু বেচাকেনা হয়ে থাকে লেপ-তোষকের দোকানে। তবে এ বছর যেন একদমই ফাঁকা যাচ্ছে।
কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্টস তুলা ৩০ টাকা ৪৫ টাকা, শিমুল তুলা ৩৫০ টাকা, কার্পাস তুলা ও শিশু তুলা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে একটি লেপ তৈরি করতে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা খরচ হয়ে থাকে। তোষক তৈরিতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হয়।
শহরের শায়েস্তাখান সড়কের ইসহাক ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর মো. ইসহাক মিয়া বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য খুবই খারাপ যাচ্ছে। দুই তিনজন কারিগর, তাদেরও বসে থাকতে হয়। ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। সারাদিন চলে যায় একটি অর্ডারও আসে না। একটি লেপ কিংবা তোষকও বিক্রি করতে পারি না।
বিক্রি না হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন আগের মতো শীত নেই। শীত বাড়লে বেচাকেনা বাড়ে। আরেকটি কারণ হচ্ছে বিদেশি কম্বল। এর চাহিদা বেশি। যার কারণে লেপ-তোষক বেচাকেনা কমে গেছে।
আল্লাহর বেডিং স্টোরের মালিক মুফতি মো. ফয়সাল বলেন, কিছু বেচাকেনা হয়। তবে তুলনামূলক অনেক কম। এখন লেপ-তোষকের থেকে বেশি চাহিদা হচ্ছে কম্বল-ম্যাট্রেসের। যার কারণে আগের মতো লেপ-তোষক আর বিক্রি হয় না। কিন্তু লেপ-তোষকে যে আরাম পাওয়া যায় কম্বল-ম্যাট্রেসে সেই আরাম মিলে না। সেই সঙ্গে শহরে শীত কম থাকায় আগের চেয়ে বিক্রি কমে গেছে।
শায়েস্তখান সড়কের লেপ-তোষক দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. জুবেদ খান বলেন, আগের মতো এখনও বেচা-কেনা হয় না। যা বিক্রি হয় তা দিয়ে কোনোরকম দিন চলে যায়। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি হয়ে থাকে।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এএইচ/জিকেএস