নাশতায় গমের না জোয়ারের রুটি খাবেন, কোনটি কার জন্য উপকারী?

1 day ago 6
সকালের নাশতায় আমাদের দেশে বেশিভাগ সময় ভাত, পরোটা, লুচি কিংবা রুটি থাকে। তবে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এখন রুটিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চান, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেন কিংবা হালকা কিন্তু পুষ্টিকর খাবার খেতে চান— তাদের তালিকায় রুটি অন্যতম। কিন্তু প্রশ্ন হলো, রুটি কি শুধু গমের আটার হতে হবে? নাকি জোয়ারের (সোরঘাম) আটা দিয়ে বানানো রুটিও সমান উপকারী হতে পারে? দুটোই প্রাচীনকাল থেকে মানুষের খাদ্য তালিকায় আছে এবং এখন আবার নতুন করে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে কোনটা কার জন্য ভালো, এ নিয়ে অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক— গমের রুটির স্বাদ ও পুষ্টিগুণ গম থেকে আটা তৈরি হয়, তা দিয়েই তৈরি হয় রুটি। এটি সাধারণত গ্লুটেনযুক্ত ও সহজপ্রাচ্য শস্য। এতে মাঝারি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI 60–70) থাকে, অর্থাৎ, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ধীর গতিতে বাড়ায় এবং তা দীর্ঘ সময় বজায় রাখে। উপকারিতা ১. দ্রুত শক্তি জোগায় ও পেট ভরা রাখে ২. তরকারি, ডাল বা সবজির সঙ্গে খাওয়ার জন্য উপযুক্ত ৩. সহজে বানানো যায় ও স্বাদে সবার পরিচিত যাদের খাওয়া উচিত নয় গ্লুটেন সেনসিটিভ বা সিলিয়াক ডিজিজ আছে, এমন মানুষেরা গমের রুটি এড়িয়ে চলা ভালো জোয়ারের রুটির বিশেষত্ব জোয়ার হচ্ছে একটি গ্লুটেনমুক্ত প্রাকৃতিক শস্য, যা সোরঘাম নামেও বেশ পরিচিত। ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে জোয়ারে। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাত্র ৫০, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক। উপকারিতা ১. গ্লুটেনমুক্ত, তাই গ্লুটেন সেনসিটিভ মানুষের জন্য উপযুক্ত ২. ফাইবারসমৃদ্ধ, ফলে দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে ৩. হজমে সহায়ক, অন্ত্র পরিষ্কার রাখে ৪. গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে কার্যকর অসুবিধা ১. রুটি বানানো তুলনামূলক কঠিন ২. কিছুটা শক্ত হয় ও সহজে ভেঙে যায় স্বাদে ও প্রয়োগে পার্থক্য গমের রুটি নরম, তুলতুলে ও সহজেই বানানো যায়। ভাজার সময় তাওয়ায় বেশ সুন্দরভাবে ফুলে উঠে। কিন্তু জোয়ারের রুটি কিছুটা শক্ত এবং এ কারণে তা ভেঙে যায়। তৈরির করার জন্য অভ্যাসও প্রয়োজন। তবে এটি হালকা, পরিপূর্ণ ও সুষম খাবারের অংশ হিসেবে দুর্দান্ত কাজ করে। কোনটি কখন খাবেন ব্যস্ত দিনে সকালের নাশতায় গমের রুটি তৈরি করা সহজ। এ জন্য সময় কম থাকলে গমের রুটি খেতে পারেন। আর গ্রীষ্মকালে বা হজমের জন্য জোয়ার রুটি খেতে পারেন। এটি শরীর ঠান্ডা রাখবে। আবার যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা ওজন কমাতে চান, তারাও নিয়মিত জোয়ারের রুটি খেতে পারেন। তবে যারা নতুন কিছু ট্রাই করতে চান, তারা সময় থাকলে গম ও জোয়ার মিশিয়ে হাইব্রিড রুটি তৈরি করতে পারেন। পরামর্শ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বৈচিত্র্য থাকা ভালো। গম ও জোয়ারের রুটি একদিন পরপর খাওয়া বা একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া উপকারী। দুটিই বেশ ভালো। শরীরের চাহিদা, রুচি ও হজমশক্তির ওপর নির্ভর করে নির্বাচন করুন, কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত বা উপকারী। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
Read Entire Article