নিউইয়র্কের জন্য টিকিটের মূল্য ১৫ শতাংশ কমানোর দাবি মামদানির

8 hours ago 4

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের টিকিটমূল্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। বুধবার থেকে প্রি-সেল ড্রয়ের মাধ্যমে টিকিটের আবেদন শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে তিনি এক বিবৃতিতে জানান, ফিফার এই ‘চাহিদাভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ’ মূলত জনগণের সঙ্গে লুটপাট ছাড়া আর কিছুই নয়।

মামদানি তার প্রচারণার স্লোগান ‘গেম ওভার গ্রিড’- এর সঙ্গে মিল রেখেই বিশ্বকাপকে সাধারণ নিউইয়র্কবাসীর নাগালে আনার আহ্বান জানান। তিনি দাবি করেন, স্থানীয়দের জন্য টিকিটের মূল্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ ছাড়ে সংরক্ষণ করতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এক ভিডিওতে মামদানি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই ফুটবল- দুঃখিত, সকার- ভক্ত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সাধারণ নিউইয়র্কবাসী কি কোনো ম্যাচ দেখতে পারবে?’

২০২৬ বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর ১৬ শহরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনালসহ মোট ৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, যা নিউইয়র্ক থেকে অল্প দূরত্বে অবস্থিত। মামদানি বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রতিবেশীই সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য রাখবে না। ফিফা আসলে ভালোবাসার এই খেলা থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।’

ফিফা জানিয়েছে, গ্রুপ পর্বের টিকিটের মূল্য ৬০ ডলার থেকে শুরু হয়ে ফাইনালে ৬,৭৩০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে এবং চাহিদার ভিত্তিতে এই দাম ওঠানামা করবে। তবে সমালোচনার জবাবে ফিফা বলেছে, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত বিনোদনমূলক ও ক্রীড়া ইভেন্টের বাজারভিত্তিক মূল্যনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়া, ফিফার আয় বিশ্বব্যাপী ফুটবল উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হয়।’

তবে মামদানি শুধুমাত্র টিকিটের দাম নিয়েই নয়, বরং পুনর্বিক্রয়মূল্যের (রিসেল) সীমা নির্ধারণের দাবিও তুলেছেন। তিনি বলেন, মেক্সিকোতে এ বিষয়ে ফিফা সীমা বেঁধে দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় কোনো সীমা রাখেনি।

অনলাইন প্রি-সেল ড্র (১০-১৯ সেপ্টেম্বর) নিয়েও সমর্থকদের মধ্যে অভিযোগ উঠেছে। আবেদন প্রথমে বা শেষে যেদিনই করা হোক না কেন, সবার সমান সুযোগ থাকবে ড্রয়ে টিকিট কিনতে পারার। সফল আবেদনকারীরা ১ অক্টোবর থেকে একক টিকিট, দলভিত্তিক ও ভেন্যুভিত্তিক টিকিট কিনতে পারবেন।

মামদানি তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি আসলে এই শহরের ক্রমবর্ধমান ব্যয় সংকটেরই প্রতিফলন। আবারও দেখা যাচ্ছে, কর্মজীবী মানুষরাই (টিকিট কেনার ক্ষেত্রে) পিছিয়ে পড়ছে।’

আইএইচএস/

Read Entire Article