নিখোঁজ নাটক সাজিয়ে স্বামীকে হত্যা, লুকিয়ে রেখেছিল সেপটিক ট্যাংকে

1 hour ago 3

কুমিল্লার দেবীদ্বারে নিখোঁজ নাটক সাজিয়ে গৃহকর্তা করিম ভূঁইয়াকে (৪৫) হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন তার স্ত্রী মোসা. তাসলিমা বেগম (৪০)। এ হত্যাকাণ্ডে নিহতের দুই ছেলে তানজিদ ভূঁইয়া (১৯) ও তৌহিদ ভূঁইয়ার (২১) সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ এ তথ্য জানান।

জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে আব্দুল করিম ভূঁইয়ার (৫২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি গত ১৩ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় তার ভাই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

নিহত করিম ভূঁইয়া উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের আবুল কাশেম ভূঁইয়া ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। 

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মোজাম্মেল, ইসরাফিল ও হাক্কানীকে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পুলিশ জানায়, রিমান্ডে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে প্রধান আসামি তাসলিমা বেগম জানান, তার স্বামী করিম ভূঁইয়া প্রায়ই মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রী-সন্তানদের অমানুষিক নির্যাতন করতেন। বিষয়টি ভাইদের জানালে তারা ১৩ আগস্ট করিম ভূঁইয়াকে ডেকে নেন। একপর্যায়ে বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে কথাকাটাকাটির সময় মোজাম্মেল হক লাঠি দিয়ে করিম ভূঁইয়ার মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এরপর লাশ প্রথমে খালে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন হাত-পা বেঁধে মোজাম্মেলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়। ঘটনার ৩৫ দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর হাত-পা বাঁধা গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া জানান, গত ১৩ আগস্ট বাড়ি থেকে আখউড়ার খড়মপুর মাজার এলাকায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়। বুধবারে একটি অজ্ঞাত ফোনের সূত্র ধরে তার ভাইয়ের লাশ উদ্ধার হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের তিনি ফাঁসির দাবি জানান।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি শামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, নিখোঁজের এক মাস পর একটি ফোনের সূত্র ধরে লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত করিম মিয়ার দুই শ্যালক, স্ত্রী ও দুই ছেলে আটক করা হয়েছে। 
 

Read Entire Article