নিখোঁজের ২৪ দিন পর ড্রেনে মিলল হাফেজ আব্দুল্লাহর মরদেহ
নরসিংদীর শিবপুরে নিখোঁজের ২৪ দিন পর আব্দুল্লাহ নামের এক কোরআনে হাফেজের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শিবপুর উপজেলার বড়ইতলা এলাকায় একটি ময়লার ড্রেন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আব্দুল্লাহ (১৩) পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সেকান্দরদী গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। এর আগে গত ২২ নভেম্বর তার মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি আব্দুল্লাহ। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সেকান্দরদী মধ্যপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র আব্দুল্লাহ। গত ২২ নভেম্বর মাদ্রাসা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরেনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে পলাশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। মঙ্গলবার সকালে ড্রেন থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আদুরী গার্মেন্টসের ইটিপি প্লান্টের ময়লার ড্রেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে এসে আব্দুল্লাহর পরিচয় শনাক্ত করে। আব্দুল্লাহর চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, আদুরী গার্মেন্টসের গেটের
নরসিংদীর শিবপুরে নিখোঁজের ২৪ দিন পর আব্দুল্লাহ নামের এক কোরআনে হাফেজের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শিবপুর উপজেলার বড়ইতলা এলাকায় একটি ময়লার ড্রেন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আব্দুল্লাহ (১৩) পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সেকান্দরদী গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। এর আগে গত ২২ নভেম্বর তার মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি আব্দুল্লাহ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সেকান্দরদী মধ্যপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র আব্দুল্লাহ। গত ২২ নভেম্বর মাদ্রাসা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরেনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে পলাশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার।
মঙ্গলবার সকালে ড্রেন থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আদুরী গার্মেন্টসের ইটিপি প্লান্টের ময়লার ড্রেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে এসে আব্দুল্লাহর পরিচয় শনাক্ত করে।
আব্দুল্লাহর চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, আদুরী গার্মেন্টসের গেটের বাইরে একটি ড্রেনের মুখ ও ভেতরে ড্রেনের মুখ রয়েছে। এছাড়া বাইরে আর কোনো ড্রেনের মুখ নেই। যারা তাকে হত্যা করেছে, তারা হয় গেটের বাইরে থেকে, নয়তো কোম্পানির ভেতর থেকে মরদেহ ড্রেনে ফেলেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।
আব্দুল্লাহর বাবা মুক্তার হোসেন বলেন, আমার ছেলে ২৭ পারা কোরআন শরিফ মুখস্থ করেছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কোরআনে হাফেজ শেষে পাগড়ি পাওয়ার কথা। কিন্তু কে বা কারা আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ড্রেনের ভেতর ফেলে রেখেছে। আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
শিবপুর থানার ওসি মোহাম্মদ কোহিনুর মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
What's Your Reaction?