নিজ কেন্দ্র ছাড়া অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না প্রার্থীরা : নির্বাচন কমিশন
নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট প্রদান শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য ও ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ তিনি জানান, ‘মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। তবে বিকেল ৩টার মধ্যে যারা ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তারা সবাই ভোট দিতে পারবেন।’ নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৮টি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৬ হাজার ৬৪৫ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পাশাপাশি হল সংসদ নির্বাচনে একটি ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ২৪২ জন ভোটার ভোট দেবেন। ভোটগ্রহণ শ
নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট প্রদান শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য ও ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি জানান, ‘মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। তবে বিকেল ৩টার মধ্যে যারা ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তারা সবাই ভোট দিতে পারবেন।’
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৮টি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৬ হাজার ৬৪৫ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পাশাপাশি হল সংসদ নির্বাচনে একটি ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ২৪২ জন ভোটার ভোট দেবেন।
ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য মোট ৬টি মেশিন ব্যবহার করা হবে।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা, লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।’
নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালেই বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে সোমবার ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট প্রদান শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। কেবল প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান।
এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?