নিজ ফ্ল্যাটেই মিলল নিখোঁজ স্কুল শিক্ষিকার লাশ

গাজীপুরের পূবাইল থানার মাজুখান এলাকার ফাল্গুনী টাওয়ারের একটি আবাসিক নিজ ফ্ল্যাট থেকে সাহানা বেগম (৫৮) নামে নিখোঁজ এক স্কুল শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাহানা বেগম প্রায় চার বছর ধরে টাওয়ারটির দ্বিতীয়তলায় একা থাকতেন। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তার স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার রামপুরা বনশ্রী এলাকায়। পরিবার জানায়, ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে তিনি তার বোন আফরোজা সুলতানা রোজির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে সর্বশেষ যোগাযোগ করেন। এরপর থেকে আর কাউকে ফোন বা বার্তা পাঠাননি। কয়েক দিন ধরে দরজা না খোলা ও কোনো সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হলে বাড়ির মালিক সমিতির সদস্য মো. শহিদুল হক গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পূবাইল থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের ছেলে উপস্থিত থাকা অবস্থায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। খাটের ওপর পড়ে থাকা দেহটি অনেকটাই পচে গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে— বোনের সঙ্গে কথা বলার পরই কোনো এক সময় হৃদরোগে আক্রান্ত

নিজ ফ্ল্যাটেই মিলল নিখোঁজ স্কুল শিক্ষিকার লাশ

গাজীপুরের পূবাইল থানার মাজুখান এলাকার ফাল্গুনী টাওয়ারের একটি আবাসিক নিজ ফ্ল্যাট থেকে সাহানা বেগম (৫৮) নামে নিখোঁজ এক স্কুল শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাহানা বেগম প্রায় চার বছর ধরে টাওয়ারটির দ্বিতীয়তলায় একা থাকতেন। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তার স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার রামপুরা বনশ্রী এলাকায়।

পরিবার জানায়, ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে তিনি তার বোন আফরোজা সুলতানা রোজির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে সর্বশেষ যোগাযোগ করেন। এরপর থেকে আর কাউকে ফোন বা বার্তা পাঠাননি। কয়েক দিন ধরে দরজা না খোলা ও কোনো সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হলে বাড়ির মালিক সমিতির সদস্য মো. শহিদুল হক গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পূবাইল থানা পুলিশকে জানান।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের ছেলে উপস্থিত থাকা অবস্থায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। খাটের ওপর পড়ে থাকা দেহটি অনেকটাই পচে গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে— বোনের সঙ্গে কথা বলার পরই কোনো এক সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হলেও নিশ্চিত হতে মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূবাইল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নাজমুল হক কালবেলাকে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের ফলাফল পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow