আনন্দ, ভালোবাসা, কষ্ট, অভিমান, সান্ত্বনা এমনকি নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করতে কাছের মানুষকে জড়িয়ে ধরলেই স্বস্তি পাওয়া যায়। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে। তবে জানেন কি? নিজেই নিজেকে জড়িয়ে ধরলে শান্তি পাওয়া যায়। নিজেকে জড়িয়ে ধরলে মস্তিষ্ক থেকে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নানাভাবে সাহায্য করে।
জার্নাল অব নার্সিং প্র্যাকটিসে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি নিজেকে জড়িয়ে ধরলে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা ও নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি অনেকটাই কমে যায়।
আসুন জেনে নেওয়া যাক নিজেকে জড়িয়ে ধরলে কী কী হতে পারে—
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে
ব্যক্তিজীবন থেকে কর্মক্ষেত্র, নানা বিষয় নিয়ে জীবনে জটিলতা তৈরি হয়। মানসিক চাপ দূর করতে নিজেকে জড়িয়ে ধরতে পারেন। নিজেকে জড়িয়ে ধরলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে মানসিক চাপ কমে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নিজেকে জরিয়ে ধরা জরুরি।
ব্যথা কমায়
শরীরের ব্যথা কমাতে নিজেকে জড়িয়ে ধরুন। শরীরের এক অংশে ব্যথা হলে অন্যদিক থেকে দুই হাত দিয়ে নিজেকে জড়িয়ে ধরলে মস্তিষ্কে সংকেত যাবে। তখন শরীরে ব্য়থার তীব্রতা কিছুটা হলেও কমবে।
নিজেকে ভালোবাসতে সাহায্য করবে
জীবনে এমন অনেক সময় আসে; যখন আপনি এত বেশি হতাশ থাকেন, যা কথায় প্রকাশ সম্ভব হয়ে ওঠে না। তীব্র কষ্টের সময় নিজেকে আলিঙ্গন করুন। এতে কষ্টের ধাক্কা সামলে ওঠার সাহস পাবেন, শক্তি পাবেন। নিজেকে জড়িয়ে ধরলে ভালো অনুভব করবেন। তাই একবার হলেও নিজেকে জড়িয়ে ধরুন। জড়িয়ে ধরে বুঝিয়ে দিন আপনি নিজেকে কতটা ভালোবাসেন।
মন ভালো থাকবে
মন খারাপ থাকলে কিছুই ভালো লাগে না। মন খারাপ হলে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সে সময় নিজেকে জড়িয়ে ধরলে মুড বদলে যায়। শরীরে অক্সিটোসিন হরমোন নির্গত হয়। ফলে মন ভালো হয়ে যায়।
প্রত্যেক ব্যক্তির আগে নিজেকে ভালোবাসা দরকার। নিজের ব্যথা, দুঃখ-কষ্টে নিজেকে জড়িয়ে ধরুন, সান্ত্বনা দিন। নিজেকে জড়িয়ে ধরলে নিজেকে ভালোবাসাতে শিখবেন।
সূত্র: হেলথ লাইন
এসএকেওয়াই/এসইউ/এএসএম