নিজের প্রিয় গোল কোনটি জানালেন মেসি!

2 months ago 30

ফুটবল ইতিহাসে এক গোল, এক শিরোপা, আর এক কিংবদন্তির জন্ম। ২০০৯ সালের সেই রাতেই যেন ভাগ্য লিখে দিয়েছিল লিওনেল মেসির। আর বছর পনেরো পর, সেই গোলটিকেই নিজের ক্যারিয়ারের প্রিয় হিসেবে বেছে নিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

ইন্টার মায়ামির হয়ে এখন খেলছেন মেসি, তবে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানালেন, বার্সেলোনার জার্সিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে করা সেই হেডারটাই তার প্রিয় গোল।

‘অনেক সুন্দর গোল করেছি, অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছি। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেডে করা গোলটাই সবসময় আমার সবচেয়ে প্রিয়,’ বললেন মেসি, যাঁর গোলসংখ্যা ইতোমধ্যেই ৮০০ ছাড়িয়েছে।

ঐতিহাসিক সেই গোলটি

২০০৯ সালের সেই ফাইনালে মেসির হেডে করা গোলেই ২-০ তে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা, পরে যা নিশ্চিত করে তার প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। ঐ গোলটি ছিল মেসির ক্যারিয়ারের অন্যতম বিরল হেডেড গোল, কিন্তু প্রভাব ছিল পাহাড়সম।

এই স্মরণীয় মুহূর্তটিকে এবার রূপ পেতে যাচ্ছে এক অভূতপূর্ব শিল্পকর্মে। ‘A Goal in Life’ নামের এক দাতব্য উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন মেসি ও বিখ্যাত মিডিয়া আর্টিস্ট রেফিক আনাদল। প্রযুক্তি ও আবেগের সম্মিলনে মেসির সেই গোলকে রূপান্তরিত করা হবে এক অনন্য ডিজিটাল শিল্পকর্মে।

‘রেফিকের কাজের বিশেষত্ব আমি আগেই জানতাম,’ বললেন মেসি। ‘আমরা মায়ামিতে দেখা করেছি, এবং এটা খুবই উত্তেজনার যে একটা ক্রীড়া মুহূর্ত কীভাবে সে এমন অনন্য শিল্পে রূপ দিতে পারে।’

শিল্পকর্মটি স্বাক্ষর করবেন মেসি ও রেফিক দুজনেই। জুন ১১ তারিখে নিউ ইয়র্কের ক্রিস্টিস নিলামঘরে উন্মোচন করা হবে এই সৃষ্টি, আর নিলামে প্রাপ্ত পুরো অর্থ যাবে শিক্ষাক্ষেত্রে সমতা ও শিশুদের সুযোগ বৃদ্ধিতে।

রেফিক আনাদল জানিয়েছেন, ‘এটি শুধু এক গোল নয়—এটি মানবিক আবেগ, স্মৃতি ও গতির প্রতিচ্ছবি। অত্যাধুনিক এআই ও বায়োসেন্সিং প্রযুক্তি দিয়ে আমরা এক নতুন শিল্পজগতের দরজা খুলছি, যেখানে ডেটাই রূপ নেয় অনুভবে।’

এই মহৎ উদ্যোগের বিশ্বব্যাপী প্রচারের অধিকার উয়েফা দিয়েছে ইন্টার মায়ামি সিএফ ফাউন্ডেশনকে। তারাই চালাবে পুরো ‘A Goal in Life’ ক্যাম্পেইন।

শেষ কথা? এক হেড, এক রাত, এক গল্প। যা শুধুই গোল নয়—একটি জীবনবোধ। আর সেই অনুভূতির ছোঁয়া ছড়িয়ে পড়বে এবার বিশ্বব্যাপী, শিল্প আর সাহায্যের হাত ধরে।

Read Entire Article