সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভায় নিম্ন আদালতের ১২১১ জন বিচারকের পদোন্নতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে, ফুলকোর্ট সভা ২৬৫ জনের কমবেশি সংখ্যক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের পদোন্নতি অনুমোদন করেছে।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় মোট ২২টি আলোচ্য সূচি ছিল। সভার বিষয়বস্তু সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ফুলকোর্ট সভায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদে দুই ক্যাটাগরিতে ২৫৪ ও ৯১ জনের পদোন্নতির বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতির জন্য ২০৭ এবং ১০৮ জনের বিষয় ফুল কোর্টে আসে।
একই সঙ্গে সিনিয়র সহকারী জজ থেকে পদোন্নতির জন্য আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে আছেন মোট ৫৫১ জন বিচারক। তবে, সভা সূত্র জানায়, এসব বিচারককে পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়েছে।
কিন্তু, তাদের পদোন্নতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, পর্যায়ক্রমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া সভায় সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক ছুটি হ্রাস-বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক ক্যালেন্ডার অনুমোদনের বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়নি।
৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা না নেওয়ার পর্যবেক্ষণ দিয়ে সমালোচিত সাবেক বিচারক কামরুন নাহারের প্রসঙ্গ আলোচ্য সূচিতে ছিল। তাকে বিচারকাজে ফেরানো হবে নাকি বিচারিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখা হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার বিষয়ে রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। তাই এ বিষয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি ফুলকোর্ট সভা।
২০১৮ সালে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার রায়ে আপত্তিকর পর্যবেক্ষণ দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছাম্মৎ কামরুন্নাহার। পরে তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
এফএইচ/এএমএ

2 hours ago
9









English (US) ·