যৌক্তিক দাবি আদায়ের কর্মসূচি পালনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যেন ভবিষ্যতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধান এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুততম শুরু করার লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও বলা হয়। পদক্ষেপগুলো হলো:
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহে শুধুমাত্র বৈধ শিক্ষার্থীরাই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী আবাসিক হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে অবস্থান করবে, যেন বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত নিয়মে নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগের মতো নিয়োজিত থাকবে।
দ্রুত সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলের কক্ষসমূহ সংস্কার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম যেন কোনোক্রমেই ব্যাহত না হয়, সেজন্য শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কাম্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য হিসেবে জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিগত কয়েকদিনে ক্যাম্পাসে সংঘটিত অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাবলি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্যকে ক্যাম্পাসে একটি সুন্দর, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব এবং ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্বাস করে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এনএস/এমআরএম