‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ চালুর পথ খুলল, কর্তৃত্ব বাড়লো ইসির

5 hours ago 6

সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে কোনো ধরনের মতবিরোধ দেখা দিলে নির্বাচন কমিশনই (ইসি) অগ্রাধিকার পাবে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কর্মকর্তার ব্যবস্থা নেওয়ারও ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১ সংশোধনে এমন কর্তৃত্ব পেল ইসি।

সংশোধিত আইনে নির্বাচন কর্মকর্তাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে নতুনভাবে। এতে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব বা কর্মে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তি বা রিটার্নিং অফিসার বা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদেরও (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

নতুন আইনে আরও কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-অসদাচরণ করলে তার (নির্বাচন কর্মকর্তা) নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত করতে পারবে। বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখতে পারবে।

অসদাচরণ করলে অনধিক দুই মাসের জন্য সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন এবং ওই বরখাস্তের আদেশ তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রদত্ত হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী কার্যকর হবে।

কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে এবং সেই সম্পর্কে কমিশনকে জানাবে। কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে, তা ওই কর্মকর্তা বা ব্যক্তির ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডোসিয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং সেই সম্পর্কে কমিশনকে জানাতে হবে।

সরকার এবং কমিশনের মধ্যে এই ধারার কোনো বিধান সম্পর্কে ভিন্নমত দেখা দিলে সে বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পাবে বলেও সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হলে নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) সংশোধনের মাধ্যমে ইসির কর্তৃত্ব বাড়লো। এর মাধ্যমে কেউ কোনো অনিয়ম করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব সংস্কার কমিশন থেকে দিয়েছিলাম আমরা। এটা খুব ইতিবাচক পদক্ষেপ সরকারের।’

এমওএস/এমএমকে/জেআইএম

Read Entire Article