নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার সুযোগটা নেই

12 hours ago 4

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বদলেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলই কমবেশি গুরুত্ব পাচ্ছে সব মহলে। ঐকমত্য কমিশন থেকে শুরু করে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিচ্ছে সব রাজনৈতিক দল।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বড় দলগুলোকে সমানভাবেই মনোযোগ দিতে হচ্ছে ছোট দলগুলোর দিকে। বামপন্থি অনেক রাজনৈতিক দলের মতো রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিও। দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সঙ্গে সমসাময়িক রাজনীতি, নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছে জাগো নিউজ। সাক্ষাৎকার নিয়েছে নিজস্ব প্রতিবেদক হাসান আলী

জাগো নিউজ: বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?

সাইফুল হক: পরিস্থিতি কিছুটা জটিল। জটিল এই অর্থে যে, আমরা এখন এক ধরনের ক্রসরোডের মধ্যে আছি। ক্রসরোড বলতে এখন আমরা সরকারের ১৫ মাস পরে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে প্রক্রিয়া, তার একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তে বা ক্রান্তিকাল আমরা এখন পার করছি। এখন গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হচ্ছে নির্বাচন।

নির্বাচন সামনে রেখে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে একটা বিতর্ক আছে। নির্বাচন ও গণভোট কীভাবে, একইদিনে হতে পারে কি না এটা নিয়ে বিতর্ক আছে। আগামী সংসদ এ জুলাই সনদ কীভাবে কতদিনে কার্যকর করবে- এগুলো নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক আছে। এখন বাস্তবে বলটা সরকারের কোটে। সরকার আবার দুদিন আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে সাতদিন সময় দিয়েছে। একটা মতৈক্যের জায়গা তৈরির জন্য দলগুলো নিশ্চয়ই কথাবার্তা বলবে, আলাপ-আলোচনা করবে। শেষ পর্যন্ত সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং আমি মনে করি সরকার নেবে।

আমরা মনে করি, সরকার একটা সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছে। সেই অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান সংশোধনের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে কোনো আদেশ দিতে পারে না। এটা হচ্ছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অবস্থান

সরকার যদি প্রজ্ঞা নিয়ে সিদ্ধান্ত দেয়, আমার মনে হয় সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি। তাহলে নির্বাচনের আগে আর বড় কোনো সংকট থাকবে না। আমরা আশা করতে পারি, বাংলাদেশ ১৭ বছর ধরে মানুষ যে নির্বাচনের অপেক্ষা করছে সেই নির্বাচনের পথে আমরা হাঁটতে পারবো।

জাগো নিউজ: বিএনপি-জামায়াতের বাইরে গিয়ে প্রায় ৯টি রাজনৈতিক দলের একটা জোটের ব্যাপারে কথা হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের বাইরে বিকল্প যে শক্তির কথা বলা হচ্ছে এটা আসলে কতটুকু সম্ভব বলে আপনি মনে করেন?

সাইফুল হক: এটা আসলে কোনো জোট নিয়ে ঠিক নয়। আলোচনাটা শুরু হয়েছিল জুলাই সনদ কেন্দ্র করে দলগুলোর মধ্যে যে বিভক্তি-বিরোধ এটাকে কমিয়ে আনা যায় কি না এবং সেখানে দলগুলো একটা ভূমিকা পালন করতে পারে কি না। সেদিক থেকে তো কিছুটা সফল হয়েছি আমরা বলা যেতে পারে। কিছু জটিলতা আমরা পার হয়ে আসছি। ঐকমত্য কমিশন ঐকমত্যের বাইরে গিয়ে যখন প্রস্তাব দেয়, তখন বাস্তবে আরও নতুন অনৈক্য তৈরি হয়। নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন
রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন চায় সেনাবাহিনী, যেন ব্যারাকে ফিরতে পারে
নভেম্বরে না হলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট চায় জামায়াত
৩৪ বছর পর গণভোটের আলোচনা, ঐকমত্য হলে ইসি কতটুকু প্রস্তুত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের যে লক্ষ্য

আমরা আজও বসেছিলাম, আমরা এটা নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া তৈরির চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে আমরা সংকট উত্তরণে আলোচনা করবো বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে। ফলে ৯ দল ঠিক জোট হিসেবে দাঁড়াবে কি না এটা এখনো খুব নিশ্চিত নয়। কারণ আমাদের মধ্যে কিছু ব্যাপারে যেমন মিল আছে, আদর্শিক রাজনৈতিক প্রশ্নে কিছু অমিলও আছে। তো এটা নিয়ে এখনো দ্বিতীয় কোনো আলাপ হয়নি। তবে এই বোঝাপড়াটা আমরা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করবো। নির্বাচনের আগে এটা বিএনপি-জামায়াতের বাইরে আলাদা একটা রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হবে কি না এটা এখনই পুরোপুরি বলা যাবে না।

জাগো নিউজ: আপনারা যে আলোচনাগুলো করছেন সেই আলোচনায় গণভোট বা জুলাই সনদ নিয়ে আপনাদের দলীয় অবস্থান কী?

সাইফুল হক: প্রথমত, ঐকমত্য কমিশনে দু-একটা দল বাদে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠানের পক্ষে মতামত দিয়েছে। সরকার সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যেহেতু অধিকাংশ দল এ ব্যাপারে মতামত দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, সংবিধান নিয়ে যেভাবে ঐকমত্য কমিশন প্রস্তাব করেছে যে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে একটা আদেশ ব্রাকেটে লেখা হয়েছে সংবিধান সংশোধন। আমরা মনে করি, সরকার একটা সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছে। সেই অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান সংশোধনের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে কোনো আদেশ দিতে পারে না। এটা হচ্ছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অবস্থান।

সরকারের পক্ষপাতদুষ্টতা এখনো শেষ হয়নি। কোথাও মনে হয় বিএনপি, কোথাও তাদেরই তৈরি করা দল এনসিপি বা কোথাও জামায়াতের সরকারের ওপর ব্যাপক প্রভাব। তো সরকার যদি পক্ষপাতদুষ্ট থাকে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনের জন্য

এটা তার ক্ষমতা ও ম্যান্ডেটের বাইরে। আদেশ দেওয়া মানে হচ্ছে সংসদের চেয়ে তার ক্ষমতা বেশি। প্রকারান্তরে বিদ্যমান সংবিধানকে অস্বীকার করা। সংবিধানের ওপরে আরেকটা কনস্টিটিউশনাল বিধান যুক্ত করা। যেটা একটা ভয়ানক ও বিপজ্জনক নজির। এই নজির যদি এখন তৈরি হয়, ভবিষ্যতে কোনো সরকার চাইলেই সংবিধান পরিবর্তনের ব্যাপারে আদেশ দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে এবং এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে কর্তৃত্ববাদী শাসন ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তারা বড়জোর একটা আদেশ দেবেন গণভোটের ব্যাপারে, একই দিনে নির্বাচন হবে। এটা আমাদের অবস্থান।

জাগো নিউজ: নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা অনুভব করেন?

সাইফুল হক: হ্যাঁ, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো আপ টু দা মার্ক না। বেসামরিক প্রশাসন বা ল’ এনফোর্সিং এজেন্সিকে এখনো পুরো মাত্রায় নির্বাচনের উপযোগী করা গেছে এরকম মনে করা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, সরকারের পক্ষপাতদুষ্টতা এখনো শেষ হয়নি। কোথাও মনে হয় বিএনপি, কোথাও তাদেরই তৈরি করা দল এনসিপি বা কোথাও জামায়াতের সরকারের ওপর ব্যাপক প্রভাব। তো সরকার যদি পক্ষপাতদুষ্ট থাকে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনের জন্য। সরকারকে বাস্তবে একটা দলনিরপেক্ষ চরিত্র নিয়ে কাজ করতে হবে। এখন সরকারের যদি বিশেষ দল, মতাদর্শের প্রতি আনুগত্য থাকে, দরদ থাকে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। করণীয় হচ্ছে, যেসব কারণে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ এগুলো প্রত্যাহার করতে হবে এবং বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিতে হবে। সরকারকে তার নিরপেক্ষ চরিত্র নিয়ে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনদের আস্থাটা অর্জন করতে হবে।

জাগো নিউজ: সেক্ষেত্রে সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের রূপ দেওয়ার যে একটা কথা বলা হচ্ছে, সেটাতে আপনারা সমর্থন করেন কি না?

সাইফুল হক: না, বর্তমান সরকার নিয়ে সমালোচনা থাকলেও এই সরকারের অধীনেই আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে চাই। উচ্চ আদালতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে শুনানি চলছে আশা করি সেটা তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে হবে। কিন্তু হলেও এবার নির্বাচন ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার সুযোগটা নেই। কিন্তু এই সরকারকে অফিসিয়ালি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চরিত্র-বৈশিষ্ট্য নিয়েই কাজ করতে হবে। তাহলেই ইলেকশন গ্রহণযোগ্যতা পাবে, মোটামুটি একটা ভালো নির্বাচন এখানে হতে পারে।

জাগো নিউজ: যে নির্বাচন কমিশন আছে, এখন পর্যন্ত কাজের ওপর ভিত্তি করে কমিশনের ভূমিকা আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

সাইফুল হক: আমি বেসিক্যালি ইতিবাচকভাবে দেখি। তাদের সদিচ্ছা নিয়ে আমার প্রশ্ন নেই। সদিচ্ছা আছে, আন্তরিকতা আছে। তবে তাদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। আমি ইলেকশন কমিশনের সবাইকে খুব দক্ষ হিসেবে দেখছি না। বিশেষ করে আরপিও গণপ্রতিনিধি অধ্যাদেশ যেভাবে তারা চূড়ান্ত করলেন এটা অন্যায় কাজ হয়েছে। কারণ নির্বাচনের আচরণবিধিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রধান স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই যখন এটা চূড়ান্ত হলো এটা একেবারে একটা ভুল কাজ হয়েছে। সেদিক থেকে আমি মনে করি, অনেকগুলো বিষয় আছে যেটা সংশোধন করা লাগবে।

এবার নির্বাচন ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার সুযোগটা নেই। কিন্তু এই সরকারকে অফিসিয়ালি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চরিত্র-বৈশিষ্ট্য নিয়েই কাজ করতে হবে

প্রধানত, পুরো নির্বাচন যে কালো টাকা, মাফিয়া দুর্বৃত্তায়ন, বেশুমার অর্থ ব্যয় হবে এখনো এ ব্যাপারে আমরা কার্যকর কোনো সুপারিশ লক্ষ্য করিনি। যদি এ ধারা চলে তাহলে তো আগামী পার্লামেন্ট প্রকারান্তরে ব্যবসায়ীদের একটা ক্লাবে পরিণত হবে। এত সংস্কারে কথা বলছেন কিন্তু আসল জায়গায় আপনি কোনো হাত দিতে পারলেন না। এটা ইলেকশন কমিশনের একটা ফেইলিয়র হিসেবে আমি দেখতে চাই।

জাগো নিউজ: আপনার দল আগামী নির্বাচনে কি এককভাবে অংশগ্রহণ করবে, নাকি বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করবে?

সাইফুল হক: আমরা এর আগে দুটো নির্বাচন করেছি এককভাবে। ২০১৮-তে আমরা ইলেকশন করেছি। আমাদের সঙ্গে তখন বাম গণতান্ত্রিক জোট ছিল। কিন্তু এক ধরনের জোটভিত্তিক আবার আমরা দলগতভাবে ইলেকশন করেছি। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মার্কা কোদাল, আপনি জানেন ইতোমধ্যে যথেষ্ট পরিচিত পেয়েছি। আরও পাঁচটি দল আমাদের মার্কা নিয়ে ইলেকশন করেছিল ২০১৮-তে। এবার প্রধানত পার্টি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে। এটাই পার্টির সিদ্ধান্ত।

তবে একই সঙ্গে আমরা কিছু আসনে বিএনপির সঙ্গে হয়তো আসন সমঝোতা করতে চাইবো। এটাতে বিএনপিরও আগ্রহ আছে। এখানে হয়তো কমন একটা জায়গা তৈরি হতে পারে। আর আমি তো নির্বাচন ঢাকা-৮ থেকেই করার কথা। এখানে তো দেখলাম যে বিএনপি প্রার্থী দিয়েছে। এখন বিএনপির সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে ঢাকা-১২ তে করতে পারি। যদি বিএনপির সঙ্গে ১২ নিয়ে বোঝাপড়া হয় আমাদের পার্টি হয়তো এটাতে সম্মত হতে পারে।

জাগো নিউজ: আপনার দল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিকে ভবিষ্যতে কোথায় দেখতে চান?

সাইফুল হক: খুব ভালো প্রশ্ন। নিশ্চয়ই যে কোনো দল তো গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির স্বপ্ন হচ্ছে, বিপ্লবী ধারার যে রাজনীতি এই রাজনীতি গোটা রাষ্ট্র, গোটা সমাজ, অর্থনীতিকে পরিবর্তনের জন্য একটা বিপ্লব সম্পন্ন করবে। যেটাকে আমরা বলি, জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব। সেই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের স্বপ্ন দেখি। একটা বিপ্লবী রূপান্তরের পক্ষে এরকম একটা সরকার আমরা ভবিষ্যতে দেখতে চাই যেখানে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে।

জাগো নিউজ: ভোটারদের উদ্দেশ্যে আপনার কিছু বলার আছে?

সাইফুল হক: ভোটারদের উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্যটা খুব পরিষ্কার। এবার ভোটাররা শুধু মার্কা দেখে যাতে ভোটটা না দেন। ভোটাররা প্রার্থী দেখবেন। ফলে মার্কার সঙ্গে প্রার্থী খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর মার্কা এবং প্রার্থীর পরে তিনি যেখানে ভোটটা দিচ্ছেন তাদের আদর্শটা কী? তাদের নীতি, নৈতিকতা, আদর্শবাদিতা, সততা, নিষ্ঠা এটা দেখবেন। ভোটারদের আগামী নির্বাচনে উচিত হবে সংগ্রামী জনগণের পক্ষে আত্মনিবেদিত প্রাণ এবং যারা ক্ষমতাকে ব্যবসা হিসেবে ব্যবহার করবেন না, এমপি মন্ত্রীগিরিকে যারা অর্থবিত্ত তৈরি করার একটা সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করবেন না- এ ধরনের প্রার্থীকে ভোটাররা নির্বাচিত করবেন।

যারা জনগণের ঘনিষ্ঠ, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবেন, জবাবদিহি করবেন এরকম প্রার্থীদের তারা ভোট দেবেন। আর যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, এবারকার অভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী, ধর্মের নামে হানাহানি করে, মারামারি করে, খুনোখুনি করতে চায়, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ায়, সমাজে হিংসা, ঘৃণা, বিভেদ ছড়ায়- এ ধরনের শক্তিকে বর্জন করবে। সত্যিকার প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমী মানুষের পক্ষে ভোটাররা ভোট দেবেন, এটা আমি দেখতে চাই।

জাগো নিউজ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

সাইফুল হক: জাগো নিউজকেও অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

এমএইচএ/এএসএ/এমএফএ/এএসএম

Read Entire Article