আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় ‘আওয়ামী দোসর কর্মকর্তাদের’ সম্পৃক্ত করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ফারুক বলেন, হাসিনার প্রেত্মাতারা এখনো সচিবালয়ে বসে আছে। তাই আমাদের দাবি—আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যারা ২০১৪ সালে ‘কুকুরের উপস্থিতিতে’, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে এবং ২০২৪ সালে দিনের ভোট রাতেই করেছেন, সেই প্রেত্মাতারা যেন কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না হতে পারে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাকে আমরা একজন সৎ ও দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে জানি। অনুরোধ থাকবে—আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচন পরিচালনায় যেন কোনোভাবেই আওয়ামী প্রেত্মাতারা, যারা অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা দায়িত্ব পালন করতে না পারে। এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
আরও পড়ুন
৫৬ শতাংশ মানুষ এখনো পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না
নিজের রাজনৈতিক সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি জীবনভর লড়াই করেছে। সেই লড়াইয়ে আমরা মা-বাবা, ভাইকে হারিয়েছি। আয়নাঘরে নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তবু লড়াই থেমে নেই। তারেক রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই গণতন্ত্রের স্বচ্ছ লড়াইয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে ফারুক বলেন, পিআর পদ্ধতি আনতে চাইলে জনগণের কাছে যান, নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করুন, তারপর সংবিধান পরিবর্তন করে পিআর পদ্ধতি চালু করুন।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষ বুঝে ফেলেছে—নির্বাচন মানেই আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। কিন্তু সেই ভোটকে মৃত ব্যক্তির ভোট দিয়ে জালিয়াতি করেছে শেখ হাসিনা। এখন তিনি দিল্লিতে বসে দোসরদের দিয়ে বাংলাদেশে চক্রান্ত চালাচ্ছেন।
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবাদুর রহমান টিপুর সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/ইএ/এমএস