নির্বাচন প্রলম্বিত করার চেষ্টা দুরভিসন্ধিমূলক: প্রিন্স

6 hours ago 9

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন প্রলম্বিত করার চেষ্টা দুরভিসন্ধিমূলক। রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন প্রলম্বিত করলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও চেতনা ষড়যন্ত্রের চোরাবালিতে ডুবে যেতে পারে।

তিনি বলেন, কঠিন ও জটিল পরিস্থিতি থেকে দেশ ও জনগণকে উদ্ধারে এবং বিরাজমান সঙ্কট দূর ও রাষ্ট্র মেরামত করতে অতি দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ৩ মাস নয়, আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। কিন্তু ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কার ও নির্বাচনী কার্যক্রম জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী এগোয়নি। উপরন্তু জনসমস্যা নিরসন না হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তির দোসরদের ষড়যন্ত্রও বেড়েছে। ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার অভিপ্রায়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচন দাবি করেছেন। বিএনপি মহাসচিব জনগণের পালস জেনেই জুলাইয়ে নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। অথচ নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সমালোচনা করেছে। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নির্বাচন চাওয়া মানেই শুধুই ক্ষমতার স্বপ্ন দেখা নয় উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলতো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেই। এটা দোষের কিছু নয়। আর যারা বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন প্রলম্বিত করে দেশকে জনপ্রতিনিধিহীন রাখতে চায়, তারা নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতাবান হতে চায়।

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি দেশ ও জাতিকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে চায়। নির্বাচিতদের শাসনের মাধ্যমে দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে চায়। ভঙ্গুর রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করে সাম্য, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক বৈষম্যবিহীন রাষ্ট্র গড়তে চায়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, আসলাম মিয়া বাবুল, আবু হাসনাত বদরুল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী ,বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, আলী আশরাফ, আলমগীর আলম বিপ্লব, বিএনপি নেতা আব্দুল হাই, শফিকুর রহমান, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মোনায়েম হোসেন খান খোকন, রফিকুল ইসলাম, কারি আবুল কাশেম, রমজান আলী, সাইদুর রহমান।

ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুল আজিজ খান, তারিকুল ইসলাম চঞ্চল, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা নীলু, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান আসিফ, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গণি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফীন পাপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূরে আলম জনি, সদস্য সচিব তাজবীর হোসেন অন্তর, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলিমুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দুলাল, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান সুজন, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মশিউজ্জামান, উপজেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক আকিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব আলী আজগর, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক শেখ সাদির, সদস্য সচিব জাকির মাহমুদ চঞ্চল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কামরুজ্জামান মিন্টু/কেএসআর

Read Entire Article