নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে, সজাগ থাকার আহ্বান আফাজ উদ্দিনের

2 hours ago 1
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। একটি গোষ্ঠী, যারা ফ্যাসিবাদের শক্তি হিসেবে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক, তারা পরিকল্পিতভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার পাঁয়তারা করছে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সজাগ থাকতে হবে। শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীর উত্তরখান শাহ কবির (র.) মাজার প্রাঙ্গণে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে মেহমানদারি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পিআর পদ্ধতি বলে কিছু নেই উল্লেখ করে আফাজ উদ্দিন বলেন, দু-একটি রাজনৈতিক দল ইচ্ছে করে নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য তারা পিআর পদ্ধতি নিয়ে কথা বলছে। অথচ বিএনপিসহ দেশের মানুষ গত ১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, কোনো পিআর পদ্ধতির জন্য নয়। তাই অযথা এই ইস্যুটি সামনে এনে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা সফল হবে না। অপরাধ ও অরাজকতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন, সমাজে ছিনতাই, চুরি, রাহাজানি, কিশোর গ্যাং কিংবা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি অরাজকতায় জড়ায়- তাদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করতে হবে। একইসঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, কোনো অন্যায়কারীর জায়গা বিএনপিতে নেই। আমাদের রাজনীতি এখন আর ফেসবুকে ছবি তুলে পোস্ট দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সমাজের প্রতিটি স্তরে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে বিএনপি কাজ করছে এবং এসব কর্মকাণ্ডের তথ্য হাইকমান্ডের কাছে জমা হচ্ছে। বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা জনগণের জন্য জানিয়ে আফাজ উদ্দিন বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এলে একটি সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় নতুন অধ্যায় শুরু করবে। ইতোমধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে- আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, কৃষকদের স্বার্থরক্ষা, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ, যুবসমাজকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে যুক্ত করা ইত্যাদি। ৩১ দফার প্রতিটি পয়েন্টই জনগণের কল্যাণের রূপরেখা। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ১৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম-খুনের শিকার হওয়ার বিষয়টি স্মরণ করে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের হত্যার বিচার অবশ্যই করা হবে। ইনশাআল্লাহ, প্রতিটি শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হবে। এ সময় উত্তরা-পশ্চিম থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক কামাল পাশা, উত্তরখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মজিবর রহমান, সেলিম মোল্লা, রবিউল হক বাবু, আঃ রশিদ ভূইয়া, থানা বিএনপির সদস্য তোফাজ্জল হোসেন মিঠু, ৪৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, ৪৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রায়হানুল বাসেদ, ৪৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিপন সরকার, ছাত্রদলের উত্তরখান থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তরখান থানার সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম তানজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
Read Entire Article