নির্বাচনে পতিত সরকারের সিন্ডিকেট ভিন্নভাবে এআই ব্যবহার করবে

1 hour ago 3

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পতিত সরকারের সিন্ডিকেট বা তাদের সাপোর্টাররা ভিন্ন ও অত্যন্ত জোরালোভাবে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডিতে নির্বাচন কমিশন বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডি ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) আয়োজনে ‘ট্রেনিং অন ইলেকশন রিপোর্টিং’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রশিক্ষণে এআই এর বিষয়গুলো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হয়েছে। আমরা নিজেরাই স্বীকার করি এটা নিয়ে আমাদের খুব বেশি ইনভলমেন্ট নেই। অন্যভাবে এই বিষয়ে আমরা সমৃদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরও চেষ্টা করছি সাংবাদিকতার সঙ্গে রিলেটেড একটা কোর্সের মতো কিছু করার। আলোচনা করে চেষ্টা করবো নতুন করে কিছু একটা করার, এটা নিয়ে নির্বাচনের কাছাকাছি সময় কিছু একটা করা যায় কি না। নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করার পর আমরা চেষ্টা করবো এআই নিয়ে একটা ফলোআপ সেশন করা যায় কি না।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই সদস্য বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের যে নীতিমালা করছে, তাতে এআই নিয়ে কাঙ্ক্ষিত কিছুই ছিল না। নির্বাচনের সামনে এআই ব্যবহার বাড়বে। এবার নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বিষয় হলো, যারা পতিত সরকারের সিন্ডিকেট বা সাপোর্ট করতো, দেশে বা দেশের বাইরে তারা কিন্তু এআই ভিন্নভাবে ও অত্যন্ত জোরালোভাবে ব্যবহার করবে। সেটাকে মোটিভেটেড ক্যাম্পেইন করার আশঙ্কা প্রকট। সেই বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব করেছিলাম টেকনিশিয়ান এক্সপার্টিসদের দিয়ে বিষয়টা দেখার, তাদেরও এই বিষয়ে দক্ষতা ছিল না। বর্তমানে তারা এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করছে। এটা নিয়ে নির্বাচনের আগে একটা ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করবো। কিছু একটা দিতে পারি কি না, আমাদের একটা প্রত্যাশা থাকবে।

প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বাস করেন, এই প্রশিক্ষণে আমাদের স্বার্থ আছে। আপনারা যে স্বার্থ নিয়ে কাজ করছেন, একই স্বার্থ পাবলিক গুড (জনস্বার্থ) নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ ধরনের ট্রেনিং ঢাকার বাইরে করলে ভালো হতো। তবে অফিস ছুটি দেবে কি না এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এতে আমাদের খরচ বেশি হবে, তাই আমাদেরও একটা ক্যাপাসিটির বিষয় থাকে। তবে আমরা ঢাকার বাইরেও এমন প্রশিক্ষণ করে থাকি।

ডাটা জার্নালিজম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে এটা নিয়ে আরও অর্গানাইজ ওয়েতে প্যাকটিক্যালি কিছু করা গেলে ভালো হতো। এটা নিয়ে কাজ করবো।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সহযোদ্ধা হিসেবে মনে করি। আমরা সবাই বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের লক্ষ্য একটাই পাবলিক গুড বা জনকল্যাণই আমাদের মূল কাজ। যে ক্যাপাসিটি আছে সবগুলোই আমরা বিনিয়োগ করবো পাবলিক গুডে।

টিআইবি ও নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।

সংগঠনের সভাপতি কাজী জেবেল বলেন, নির্বাচনের সামনে এমন একটা প্রশিক্ষণ নিঃসন্দেহে আমাদের আরও সমৃদ্ধ করবে। আসন্ন নির্বাচনের সামনে আমরা আশা করবো এআইসহ নানা বিষয় নিয়ে আরও ট্রেনিং হবে। এই প্রশিক্ষণ নির্বাচনী সংবাদ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে। এই প্রশিক্ষণ গুণগত নির্বাচনী সংশ্লিষ্ট সংবাদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এতে সাংবাদিকদের পেশাদারত্ব আরও বাড়বে।

আরএফইডি’র সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ ৫০ জন সংবাদকর্মী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।

এমওএস/ইএ/জেআইএম

Read Entire Article