নির্বাচনের আগেই সচিবালয় থেকে আওয়ামী দোসরদের অপসারণ করুন : ফারুক

3 hours ago 2

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। 

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ফারুক এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো সচিবালয়ে, বিভিন্ন অধিদপ্তরে, জেলা ও উপজেলায় ঘাপটি মেরে বসে আছে। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। তবে জনগণকে সন্দেহমুক্ত করতে হলে এসব লোকদের তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচনের আগেই অপসারণ করতে হবে। আশা করি, ’৯১ সালের মতো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আপনি উপহার দেবেন। 

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, সরকারের দ্বারাই কি নির্বাচন বানচাল হতে যাচ্ছে? আমরা সরাসরি কিছু বলছি না, কিন্তু সন্দেহটা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, পতিত আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো সচিবালয়ে ও বিভিন্ন অধিদপ্তরে বসে আছে। 

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, বিএনপিতে কখনো হতাশা ছিল না, এখনো নেই, সামনেও হবে না। হতাশা তাদের হয়, যারা রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, যাদের সংগঠন বড় নয়, যারা জনগণের জন্য কিছু করতে পারে না কিংবা কখনো ক্ষমতায় যেতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, জয়-পরাজয় থাকবেই। তবে যদি কেউ গণতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিছু করে, সেটা অন্য প্রসঙ্গ। ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচন নয়, তাই এটি জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, গত ১৬ বছরে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারিনি, ভোট দিতে পারিনি। সেই ভোটের অধিকার ফিরে পেতেই আমরা ড. ইউনূসকে সমর্থন করেছি। যাতে আমি আমার ভোট নিজেই দিতে পারি- রাতে নয়, দিনে। সেই ভোটের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে।

সংগঠনের সহসভাপতি বাদল সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, কেন্দ্রীয় সদস্য রহিমা শিকদার প্রমুখ।

Read Entire Article