নির্বাচনের তারিখ নিয়ে খুশি নয় ছাত্র সংগঠনগুলো, শুরু হয়নি প্রচারণা

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দুই দিন পেরিয়েছে। এখনো নির্বাচন নিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়নি। প্রশাসনের নির্ধারিত নির্বাচনের তারিখ নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে ছাত্রদল-শিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঝে। তারা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছেন। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেও ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে অনড় রয়েছে ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রীসংস্থা, আপ বাংলাদেশ, ছাত্রমজলিস, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। অন্যদিকে শীতকালীন ছুটির পর নির্বাচন আয়োজন করার কথা বলছে ছাত্রদল। তবে ছাত্র ইউনিয়ন বলছে, ‘প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে অনিচ্ছুক। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’ গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুই দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের দুই দফা দাব

নির্বাচনের তারিখ নিয়ে খুশি নয় ছাত্র সংগঠনগুলো, শুরু হয়নি প্রচারণা

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দুই দিন পেরিয়েছে। এখনো নির্বাচন নিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়নি। প্রশাসনের নির্ধারিত নির্বাচনের তারিখ নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে ছাত্রদল-শিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঝে। তারা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেও ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে অনড় রয়েছে ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রীসংস্থা, আপ বাংলাদেশ, ছাত্রমজলিস, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

অন্যদিকে শীতকালীন ছুটির পর নির্বাচন আয়োজন করার কথা বলছে ছাত্রদল। তবে ছাত্র ইউনিয়ন বলছে, ‘প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে অনিচ্ছুক। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুই দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের দুই দফা দাবির মধ্যে ছিল, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন ও শীতকালীন ছুটি এগিয়ে আনা। তবে ওই দিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ছুটি পূণর্বহাল করা হয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শাবিপ্রবির শীতকালীন ছুটির পরিবর্তনসংক্রান্ত ১৪ নভেম্বরের জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারে উল্লিখিত ছুটি বহাল রাখা হলো।’ তবে শিক্ষার্থীদের একটি দাবি পূরণ হওয়ার পরেও ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে তারা অনড় রয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক পলাশ বখতিয়ার জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৭ তারিখ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছেন। যার প্রভাব আমরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে দেখতে পেয়েছি। যেখানে প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী ১০ তারিখের পূর্বে নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তফসিলের পরে নির্বাচনি আমেজের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের নীরব বর্জনের ভূমিকা লক্ষ্য করছি। যদি নির্বাচন এগিয়ে আনা না হয় আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না।

ছাত্রশিবিরের সম্ভাব্য ভিপি প্রার্থী দেলওয়ার হাসান শিশির বলেন, নির্বাচনি আমেজ না থাকার পেছনে প্রশাসনই দায়ী। তারা একটি পক্ষের চাপে এমন সময় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন, যখন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকবে। আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে। উনাদের সঙ্গে কথা বলে যেটা মনে হয়েছে, এখনো চাইলেই নির্বাচন এগিয়ে আনা সম্ভব। নির্বাচন এগিয়ে আনা না হলে এই নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সম্ভাব্য এই ভিপি প্রার্থী।

এদিকে শীতকালীন ছুটির পর নির্বাচন আয়োজনের দাবি ছাত্রদলের। শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলবে। মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষা চলমান তারা কীভাবে প্রচারণা করবে। ক্যাম্পাসের ১০ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে মিনিমাম একটি সময়ের প্রয়োজন।

১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন হলে এই সময়ের মধ্যে ভোটারদের কাছে পৌঁছানো যাবে না উল্লেখ করে রাহাত জামান বলেন, আমরা চাই ছুটির পর একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হোক।

এদিকে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) শাকসু নির্বাচনের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির শাবিপ্রবি শাখার সংগঠক নাজনীন লিজা তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকে ‘আন্দোলন নামক নাটক মঞ্চায়িত’ বলে মন্তব্য করেছেন।

শাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে অনিচ্ছুক বলে দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন থেকে শাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনীর প্রস্তাব জানানো হয়।

সার্বিক বিষয়ে জানতে প্রধান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তফসিল অনুসারে কাজ করছে। নির্বাচন এগিয়ে আনা বা পেছানোর বিষয়ে নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

এসএইচ জাহিদ/এমএন/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow