‘নির্বাচিত সরকারই জাতীয় সিদ্ধান্ত নেবে’; বন্দর-এলডিসি নিয়ে তারেক রহমান
বাংলাদেশের এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের সময়সূচি ও চট্টগ্রাম বন্দরের দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফেসবুকে প্রকাশিত এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি দাবি করেন, এই দুটি জাতীয় কৌশলগত সিদ্ধান্ত এমন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে রয়েছে, যার জনগণের কাছ থেকে কোনো নির্বাচনী ম্যান্ডেট নেই। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, এলডিসি সুবিধা হারানোর চাপ সবচেয়ে বেশি অনুভব করেন দেশের ছোট- মাঝারি উদ্যোক্তা ও শ্রমিকরা। গাজীপুরের ক্ষুদ্র পোশাক কারখানার মালিক বা নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক পরিবারগুলোর সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেন, “এসব সংকট খবরের শিরোনাম হয় না, এগুলো সাধারণ মানুষের নীরব দুঃসংকট।” তারেক রহমান দাবি করেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে সরকার যে ভাষ্য দিচ্ছে—যে এটি স্থগিত করা ‘অসম্ভব’ বা ‘অপমানজনক’—তা বাস্তবতার সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না। তিনি উল্লেখ করেন, আগেও অ্যাঙ্গোলা ও সামোয়ার মতো দেশগুলো তাদের গ্র্যাজুয়েশন সময়সীমায় পরিবর্তন এনেছে এবং জাতিসংঘের নিয়মেই শক বা চাপের কারণে সময় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, “অন্তর্বর্তী সর
বাংলাদেশের এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের সময়সূচি ও চট্টগ্রাম বন্দরের দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফেসবুকে প্রকাশিত এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি দাবি করেন, এই দুটি জাতীয় কৌশলগত সিদ্ধান্ত এমন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে রয়েছে, যার জনগণের কাছ থেকে কোনো নির্বাচনী ম্যান্ডেট নেই।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, এলডিসি সুবিধা হারানোর চাপ সবচেয়ে বেশি অনুভব করেন দেশের ছোট- মাঝারি উদ্যোক্তা ও শ্রমিকরা। গাজীপুরের ক্ষুদ্র পোশাক কারখানার মালিক বা নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক পরিবারগুলোর সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেন, “এসব সংকট খবরের শিরোনাম হয় না, এগুলো সাধারণ মানুষের নীরব দুঃসংকট।”
তারেক রহমান দাবি করেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে সরকার যে ভাষ্য দিচ্ছে—যে এটি স্থগিত করা ‘অসম্ভব’ বা ‘অপমানজনক’—তা বাস্তবতার সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না। তিনি উল্লেখ করেন, আগেও অ্যাঙ্গোলা ও সামোয়ার মতো দেশগুলো তাদের গ্র্যাজুয়েশন সময়সীমায় পরিবর্তন এনেছে এবং জাতিসংঘের নিয়মেই শক বা চাপের কারণে সময় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
তার বক্তব্য অনুযায়ী, “অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির মধ্যে বেঁধে ফেলছে—যার জন্য তাদের কোনো গণতান্ত্রিক অনুমোদন নেই।” চট্টগ্রাম বন্দরের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তও তিনি একই প্রেক্ষাপটে দেখেছেন, যা তার মতে “জাতীয় সম্পদের ওপর কৌশলগত সিদ্ধান্ত” এবং এগুলোতে “জনগণের অংশগ্রহণ বা বিস্তৃত পর্যালোচনা নেই।”
তিনি বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বা বন্দর সংস্কারের বিরুদ্ধে নয় বিএনপি; বরং প্রশ্ন হলো—এমন দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত কি নির্বাচিত সরকারের হাতে থাকা উচিত নয়?
তারেক রহমান লিখেছেন, “সঠিক সময়ে সঠিক প্রশ্ন তোলাই জাতীয় শক্তি।” জনগণ অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক বৈধতাই জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
আসন্ন ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেটই হবে দেশ পরিচালনার ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণের একমাত্র উপায়। পোস্টের শেষে তিনি উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন এই দেশের মানুষই—‘সবার আগে বাংলাদেশ’ বিশ্বাস থেকে।”
What's Your Reaction?