বিজ্ঞাপনচিত্রের নির্মাতা হিসেবে বেশ জনপ্রিয় রানা মাসুদ। প্রায় ৫ শতাধিক বিজ্ঞাপনচিত্র তিনি নির্মাণ করেছেন, যার বেশিরভাগই শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের পণ্য। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞাপনচিত্রগুলো হলো- পারটেক্স, প্রাণ আর এফ এল ওয়াটার পাম্প, রুচি চানাচুর, রুচি ডাল, রুচি আচার, গোয়ালিনী কন্ডেন্সড মিল্ক, আরসি কোলা, ড্যনিশ কন্ডেন্সড মিল্ক, জিরা পানি, আড়ং মিল্ক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ফ্রেশ টি, বেক্সি ফেব্রিকস, ওরিয়ন ফুটওয়্যার ইত্যাদি।
জননন্দিত তারকা মডেল নোবেল থেকে শুরু করে প্রিয়দর্শিনী চিত্রনায়িকা মৌসুমী, পূর্ণিমা, বিদ্যা সিনহা মীম, অনন্ত জলিল, বর্ষা, কচি খন্দকার, ফারিয়া শেহরিন, অহনা,নওশিন, ইমন, মেহজাবিন, তৌকির আহমেদসহ দেশসেরা অনেক তারকাশিল্পী কাজ করেছেন তার নির্দেশনায়।
টিভিসি ছাড়াও নির্মাণ করেছেন ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, বিসিসিপি, ব্র্যাক, প্ল্যান বাংলাদেশ, এস এম সি ব্লু স্টার বিভিন্ন ধরনের সচেতনামূলক তথ্যচিত্র বা পিএসএ (পাবলিক সার্ভিস এনাউন্সমেন্ট)। তার পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে ২৬ পর্বের আলোচিত টক-শো ‘জয়ীতা জয়যাত্রা’।
নির্মাণ করেছেন শর্টফিল্ম ‘নিবাস- দ্য রেসিডেন্স’, ‘আতর’। শর্টফিল্মটির জন্য পিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৩- এর বেস্ট ফিল্ম ডিরেক্টর হিসেবে সম্মাননা লাভ করেন। ২০২২ সালে মরক্কোর ‘অ্যাট দ্য ওয়ালিড ত্রিমা ফেস্টিভ্যাল’ থেকেও ‘আতর’ নির্মাণ করে বেস্ট স্ক্রিন প্লে ও বেস্ট ডিরেক্টরের পুরস্কার অর্জন করেন রানা মাসুদ। একই বছর কানাডার টরেন্টোতে অনুষ্ঠিত আইএফএফএস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নির্বাচিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবেও ‘আতর’ প্রদর্শিত হয়। এ দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দেশ বিদেশে আরও বেশ কিছু সম্মাননা পেয়েছে।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মাণ করেছেন তথ্যচিত্র ‘বিলোনিয়ার যুদ্ধ - দ্য বেটেলস অব বিলোনিয়া। এ ফিল্মটি সারাদেশে প্রদর্শিত হওয়ার পাশাপাশি আমেরিকাতেও প্রদর্শিত হয়েছে বলে জানালেন তিনি।
এবার তিনি চলচ্চিত্রে নাম লেখাতে প্রস্তুত। বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরাম, বাংলাদেশ থিয়েটার আর্টিস্ট এসোসিয়েশনের সদস্য ও বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের শিক্ষক রানা মাসুদ জানান, চলচ্চিত্র নির্মাণই এখন তার প্রধান লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে গুরু তানভীর মোকাম্মেলের ছায়ায় নিজেকে তৈরি করেছেন তিনি। তিনি তানভীর মোকাম্মেলের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ‘লাল সালু’, ‘লালন’, ‘জীবনঢুলি’, ‘রূপসা নদীর বাঁকে’সহ বেশ কিছু ছবিতে।
মাসুদ রানা বলেন, ‘নির্মাণের সঙ্গে জড়িত হওয়া প্রায় সবার মধ্যেই সিনেমা বানানোর স্বপ্নটা বুকের গভীরে মিশে থাকে। আমিও দিনে দিনে সেই স্বপ্নকে পূরণ করতে এগিয়েছি। এখন নিজেকে খানিকটা প্রস্তুত মনে হয়। কারণ সিনেমা হলো সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম। এখানে নির্মাতা হিসেবে নিখুঁত হতে হয়, যতোটা পারা যায়। একটি ভালো গল্প নিয়ে এবার সিনেমার জন্য মাঠে নামতে চাই।’
এই মুহূর্তে সিনেমার জন্য গল্প বাছাই করছেন মাসুদ রানা। চিত্রনাট্য শেষ করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন সিনেমার।
এলএ/জিকেএস