নির্যাতনে মৃত্যু, যশোরে দুই পুলিশ সদস্যসহ ৩ জনের নামে মামলা

3 hours ago 6

যশোর শহরের বামনপাড়ার স্যানিটারি টেকনিশিয়ান বাবুকে মারধর করে হত্যা ও তার ভাইকে জখমের অভিযোগে কোতোয়ালি থানার সাবেক দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খড়কি বামনপাড়া এলাকার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে নিহত বাবুর ভাই নুরুজ্জামান মুন্না বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তুনু কুমার মন্ডল অভিযোগের তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে পিবিআই) প্রতিবেদন জমা দিতে আদেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী প্রবীর চক্রবর্তী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন কোতয়ালি থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ জামিল আহম্মেদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম আজাদ ও বেজপাড়া মেইন রোড এলাকার শাহাআলম ডাকাতের ছেলে ওবাইদুল ইসলাম রাকিব।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত শাসনামলে আসামিরা ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট বিকেলে আসামিরা নুরুজ্জামান মুন্না ও তার ছোট ভাই বাবুকে বাড়ি থেকে ধরে থানায় নিয়ে যান। এরপর রাতে আসামিরা তাদের হকস্টিক দিয়ে বেদম মারধর করে। মারধরে বাবুর হাতের কব্জি ও মুন্নার মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়।

পরবর্তী সময়ে বাবুর কব্জিতে ক্যানসার হয় এবং ২০২০ সালের ১৬ অক্টোরব চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ওইসময় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

বাদী নুরুজ্জামান মুন্না বলেন, ‘আমি ইলেকট্রিশিয়ান আর আমার ভাই বাবু স্যানিটারি টেকনিশিয়ার ছিল। স্থানীয় বেজপাড়া মেইন রোড এলাকার শাহাআলম ডাকাতের ছেলে ওবাইদুল ইসলাম রাকিবের সঙ্গে আমার ভাই বাবুর গোলযোগ হয়। রাকিব পুলিশের সোর্স হওয়ায় পুলিশের প্রভাব নিয়ে আমার বাড়িতে অভিযানে আসে। বাড়িতে কয়েক বোতল ফেনসিডিল দেখিয়ে আমাকে ও আমার ভাইকে আটক করে। পরে রাতে পুলিশ হকস্টিক দিয়ে বেদম মারধর করে। এতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবু মারা যায়।'

তিনি আরও বলেন, ‌‘ওইসময় সাবেক পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিলে প্রতিকারের বদলে উল্টো আমাকে বাড়ি ছাড়া হতে হয়। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’

মিলন রহমান/এসআর

 

 

Read Entire Article