নিলামে ৪০০ বছর আগের চিত্রকর্ম, দাম প্রায় ৩ মিলিয়ন ইউরো

চারশো বছর আগে যিশু খ্রিষ্ট কে নিয়ে একটি বিরল চিত্রকর্ম এঁকেছিলেন পিটার পল রুবেন্স। শত বছর গোপনে থাকার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে এসেছে চিত্রকর্মটি। ফ্রান্সের প্যারিসে তা নিলামে তোলা হলে সব মিলিয়ে তা ২ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ইউরোতে বিক্রি হয়।  পিটার পল রুবেন্স (১৫৭৭–১৬৪০) ছিলেন ফ্লেমিশ (বর্তমান বেলজিয়ামের) বারোক যুগের অন্যতম প্রধান চিত্রশিল্পী। তার অন্যান্য বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে দ্য এলিভেশন অব দ্য ক্রস (১৬১০-১৬১১), দ্য ডিসেন্ট ফ্রম দ্য ক্রস (১৬১২-১৬১৪), দ্য ম্যাসাকার অব দ্য ইনোসেন্ট (১৬১১-১২) এবং বহু পৌরাণিক দেবদেবীর চিত্র নিয়ে আঁকা দ্য জাজমেন্ট অব প্যারিস। জানা গেছে, ১৬১৩ সালে অঙ্কিত যিশুর ক্রুসিফাইড সম্বলিত এ চিত্রকর্মটি প্যারিসের একটি ম্যানশনে চারশো বছর ধরে লুকানো ছিল। নিলামকারী জঁ-পিয়ের ওসেনা এটি আবিষ্কার করেন। বিশেষজ্ঞরা এটিকে রুবেন্সের সৃজনশীল কাজের শীর্ষ সময়ের একটি মাস্টারপিস হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ চিত্রকর্মটি ১৯ শতকের ফরাসি একাডেমিক চিত্রশিল্পী উইলিয়াম-অডলফ বুগেরোর সংগ্রহে ছিল। তার মৃত্যুর পর পরিবারের উত্তরাধিকারদের কাছে ছিল। চিত্রকর্মটি আসল কি না তা যাচাই করেছেন জার্মান চিত্র

নিলামে ৪০০ বছর আগের চিত্রকর্ম, দাম প্রায় ৩ মিলিয়ন ইউরো

চারশো বছর আগে যিশু খ্রিষ্ট কে নিয়ে একটি বিরল চিত্রকর্ম এঁকেছিলেন পিটার পল রুবেন্স। শত বছর গোপনে থাকার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে এসেছে চিত্রকর্মটি। ফ্রান্সের প্যারিসে তা নিলামে তোলা হলে সব মিলিয়ে তা ২ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ইউরোতে বিক্রি হয়। 

পিটার পল রুবেন্স (১৫৭৭–১৬৪০) ছিলেন ফ্লেমিশ (বর্তমান বেলজিয়ামের) বারোক যুগের অন্যতম প্রধান চিত্রশিল্পী। তার অন্যান্য বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে দ্য এলিভেশন অব দ্য ক্রস (১৬১০-১৬১১), দ্য ডিসেন্ট ফ্রম দ্য ক্রস (১৬১২-১৬১৪), দ্য ম্যাসাকার অব দ্য ইনোসেন্ট (১৬১১-১২) এবং বহু পৌরাণিক দেবদেবীর চিত্র নিয়ে আঁকা দ্য জাজমেন্ট অব প্যারিস।

জানা গেছে, ১৬১৩ সালে অঙ্কিত যিশুর ক্রুসিফাইড সম্বলিত এ চিত্রকর্মটি প্যারিসের একটি ম্যানশনে চারশো বছর ধরে লুকানো ছিল। নিলামকারী জঁ-পিয়ের ওসেনা এটি আবিষ্কার করেন। বিশেষজ্ঞরা এটিকে রুবেন্সের সৃজনশীল কাজের শীর্ষ সময়ের একটি মাস্টারপিস হিসেবে অভিহিত করেছেন।

এ চিত্রকর্মটি ১৯ শতকের ফরাসি একাডেমিক চিত্রশিল্পী উইলিয়াম-অডলফ বুগেরোর সংগ্রহে ছিল। তার মৃত্যুর পর পরিবারের উত্তরাধিকারদের কাছে ছিল। চিত্রকর্মটি আসল কি না তা যাচাই করেছেন জার্মান চিত্রকলা গবেষক নিলস বুটনার। পিগমেন্ট বিশ্লেষণ এবং এক্স-রে ইমেজিং ব্যবহার করে পরীক্ষা করা হয়েছে।

চিত্রকর্মটির মাপ দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ৪২ এবং ২৯ ইঞ্চি। এটি সম্ভবত কোনো চার্চের জন্য নয় বরং ব্যক্তিগত সংগ্রাহকের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

এই চিত্রকর্ম আবিষ্কার বহু বছর ধরে রুবেন্সের অজানা কাজের প্রতি পুনরায় আগ্রহ সৃষ্টি করেছে এবং বারোক যুগের চিত্রকলায় তার প্রাথমিক সৃজনশীলতা সম্পর্কে একটি বিরল দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

কেএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow