নিয়মিত বেদানা খাওয়ার ৭ দারুণ উপকারিতা জানালেন পুষ্টিবিদ
আমরা অনেকেই জানি, ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। তবে প্রতিদিন এত রকম ফলের ভিড়ে কোনটা খাওয়া দরকার, সেটা বোঝা কঠিন হয়ে যায়। এর মধ্যে একটা ফল হচ্ছে—বেদানা। ছোট ছোট টকটকে লাল দানা, দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
ভারতের পুষ্টিবিদ অনুশ্রী মিত্র সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন নিয়মিত বেদানা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী উপকার পাবেন এই ফল খেলে—
১. পুষ্টিতে ভরপুর
বেদানায় থাকে ফাইবার, ভিটামিন সি, কে, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম; যা শরীরকে শক্তিশালী রাখে। নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা
বেদানায় রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের কোষকে রক্ষা করে এবং ক্যানসারসহ নানা দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমায়।
৩. হার্টের জন্য দারুণ উপকারী
বেদানার রস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।
৪. ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারেন
বেদানার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, মানে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়ায় না। তাই ডায়াবেটিস রোগীরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
আরও পড়ুন : ড্রাগন ফলে ‘টনিক’ চেনার উপায় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি জানুন
আরও পড়ুন : সুস্থ থাকতে রাতে ভাত খাবেন, না রুটি? যা বলছেন পুষ্টিবিদ
৫. হজমের জন্য ভালো
বেদানায় রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার, যা হজমে সাহায্য করে। পেট পরিষ্কার রাখে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তবে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, তারা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৬. ত্বককে রাখে উজ্জ্বল
বেদানায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন C ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এতে বলিরেখা কমে এবং ত্বক হয় উজ্জ্বল ও টানটান।
৭. রক্তশূন্যতায় সহায়ক
বেদানায় সরাসরি আয়রন না থাকলেও এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C, যা শরীরে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। তাই আয়রনযুক্ত খাবারের সঙ্গে বেদানা খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে এবং রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমে।
কখন খাবেন বেদানা?
পুষ্টিবিদ অনুশ্রী বলছেন,
- সকালের নাশতার পরে
- দুপুরের খাবারের আগে বা বিকেলে ৪টার দিকে খেতে পারেন।
- সবচেয়ে ভালো উপকার পেতে দানা চিবিয়ে খাওয়া উচিত। চাইলে বেদানার রসও খেতে পারেন।
- এছাড়া টক দই, ওটস, স্মুদি অথবা ফ্রুট সালাদে মিশিয়েও খাওয়া যায়।
ছোট হলেও বেদানার গুণ অনেক! নিয়মিত খান, সুস্থ থাকুন। তবে বিশেষ শারীরিক সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই ভালো।