নিয়োগ দুর্নীতিতে কীভাবে প্রমাণ লোপাট হয়েছে জানাল সিবিআই

9 hours ago 9

নিয়োগ দুর্নীতিতে কীভাবে প্রমাণ লোপাট হয়েছে তা জানিয়ে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। এতে দুর্নীতির নথি কীভাবে একের পর এক লোপাট করার চেষ্টা হয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে। 

মঙ্গলবার ( ১৮ মার্চ) ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

সিবিআই জানিয়েছে, সম্প্রতি আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এতে প্রমাণ লোপাটের এই প্রক্রিয়াও যথেষ্ট ভেবেচিন্তে করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। চার্জশিটে এসবের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। 

সিবিআই ইতোমধ্যে একাধিক ব্যক্তিকে এ মামলায় জেরা করেছে। এতে প্রচুর সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে। তাদের বয়ানের সঙ্গে প্রমাণ লোপাটের পদ্ধতি মেলানো হয়েছে।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু সরাসরি জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার জন্য আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিপস অ্যান্ড বাউন্সের অফিসে বসেও প্রমাণ লোপাটের কাজ করেছেন।

ভিডিও লোপাট

সিবিআই জানিয়েছে, নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ লোপাট করতে ভিডিও মুছে ফেলা হতো। এক সাক্ষী জানান,  একরার সুজয়কৃষ্ণের উপস্থিতিতে তার এক সহকর্মী ঘুষ নিচ্ছিলেন। এ সময় ওই ব্যক্তি পুরো ঘটনা ভিডিও করেন। পরে তাকে চাপ দিয়ে ভিডিও ডিলেট করা হয়। ওই সাক্ষী জানান, প্রার্থীরা চাকরি না পেলে ব্ল্যাকমেইলের জন্য ভিডিও করা হয়। পরে তার থেকে কালীঘাটের কাকু মোবাইল কেড়ে নিয়ে নর্দমায় ফেলে দেন। 

প্রমাণ লোপাটে ডায়রিতেও আগুন দেওয়া হতো। ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর সুজয়কৃষ্ণের এক সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তিনি জানান, সুজয়ের একাধিক এজেন্ট ছিল। কার কাছ থেকে কত টাকা আসছে তা ডায়েরিতে লিখে রাখা হতো। সিবিআই একের পর এক গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করলে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। 

সিবিআইয়ের দাবি, আগুনে সব ডায়েরি পুড়ে যায়নি। বিভিন্ন এজেন্টের কাছে বেশ কিছু ডায়েরি পাওয়া গেছে। সিবিআইয়ের হাতে অন্তত ১০টি ডায়েরি জমা রয়েছে। এসব ডায়েরিতে ‍গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মিলেছে। 

নিয়োগের জালিয়াতির প্রমাণ লোপাট করতে দুর্নীতির একাধিক ই-মেইল মুছে ফেলা হয়েছে। এক সাক্ষী জানান, নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক ই-মেইল তার কাছে আসত। এসব প্রমাণ ডিলেট করতে তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এমনকি তাকে প্রাণে মারারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। 

আরেক সাক্ষী জানান, তাকে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক নষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, ল্যাপটপে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা তৈরি করে রাখতে হতো। তার কাছে প্রায় দুহাজার চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা ছিল। 

Read Entire Article