অবশেষে নিয়োগের চারদিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ফাতিন ইলহাম বিন পেয়ার। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদের ছেলে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) পদত্যাগ করেন তিনি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ মেনে নিতে না পেরে পারিবারিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদ।
তিনি জানান, ফাতিন ইসলাম বাংলাদেশের নাগরিক। ৯ আগস্ট স্বচ্ছভাবে তার নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে। তারপরও যেহেতু স্বজনপ্রীতির প্রশ্ন উঠেছে, পারিবারিক সিদ্ধান্ততে ১৩ আগস্ট ছেলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে। তার স্থলে প্যানেলে থাকা পরবর্তী প্রার্থীকে নিয়োগ করা হবে।
এর আগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়াকে ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়। ওই পদে নিয়োগের জন্য সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা প্রার্থীরাও ছিলেন। ফাতিন বেসরকারি এমএইচ শমরিতা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
উপাচার্য আরও জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। তার ছেলে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েই স্বচ্ছভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। যেহেতু এটা নিয়ে স্বজনপ্রীতির কথা উঠেছে তাই পারিবারিক সিদ্ধান্ত মতে আমার ছেলে পদত্যাগ করে।
গেলো ১৮ মার্চ ১৫ ক্যাটাগরির ৩৪ পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তির সাত নম্বরে থাকা মেডিকেল অফিসার পদে ২৩ জন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে দুজনের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। পরে কাগজপত্র যাচাই শেষে ২১ জনকে প্রাথমিকভাবে যোগ্য বলে বিবেচিত করা হয়।
এ ২১ জনের মধ্যে ১৮ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরে ৯ আগস্ট লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ১০ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। তাদের মধ্যে থেকে অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদের ছেলে ফাতিন ইলহাম বিন পেয়ারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শরীফুল ইসলাম/আরএইচ/জেআইএম