নীলফামারিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

6 days ago 4

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে ভাস্কর্য চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ মিছিল শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, ‌‘জয় জয় জয়, সর্বহারা’, ‘শ্রমিকের সংগ্রাম, চলছে চলবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, একটি কোম্পানিতে ৩০ হাজারের বেশি শ্রমিকের মধ্যে তিন হাজার শ্রমিকের বেতন না দিয়ে নানা অজুহাতে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একইসাথে ভাতা সময়মতো পরিশোধ, আবাসন ও প্রমোশনের জটিলতা নিরসন, সকাল ৭টার আগে ডিউটি না রাখা, গর্ভবতী শ্রমিকদের বিশেষ সুবিধার জন্য আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর প্রশাসনের গুলিতে হাবিব নামের একজন নিহত হয়েছেন। এভাবে নির্বিচারে শ্রমিক হত্যা বন্ধ করা হোক।

নাট্যকলা বিভাগের ইমতিয়াজ আরেফিন সৌরভ বলেন, ইউনূস সরকার আসার পর রাবার বুলেট নয়, রিয়েল বুলেট চালানো হয়েছে। হাসিনার আমলে সাত মাস, এই আমলে সাত মাস, বেতন বকেয়া রেখে শ্রমিকদের ওপর এমন হামলা করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে। শ্রমিকদের আয়ের নির্ভর করে সরকার আসে। কিন্তু সেই শ্রমিকদের ওপর মেটাল বুলেট চালানো হয়েছে। যেই রাষ্ট্র শ্রমিক মারে, সে রাষ্ট্র ভেঙে দাও।

ইন্ডিজেনাস পিপলস রাইটস ইউনিয়নের সদস্য নু মং প্রু মারমা বলেন, ১ বছর পার হলেও তাদের বেতন দেওয়া হয়নি। উল্টো তাদের ছাঁটাই করা হচ্ছে, যেন বেতন না দেওয়া লাগে। প্রশাসনের গুলিতে আহত ও নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার করতে হবে। না হলে এই ইন্টেরিমকে চরম মূল্য দিতে হবে। শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে হবে।

নীলফামারিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক অরুনাভ আশরাফ বলেন, নীলফামারীর ওই শ্রমিকদের বেতন বেশি দিতে হবে, তাই ছাঁটাই করে দিচ্ছে। এটা নিয়ে আন্দোলন করতে গেলে হাবিব নামের একজন নিহত হয়। কিন্তু এই মানবসভ্যতার সবকিছু শ্রমিকদের কারণেই হয়েছে। হাসিনার ব্যবস্থার মতো গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনে ইনটেরিম গুলি চালায়, হামলা চালায়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ বলেন, যুগের পর যুগ যায়, কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্য বদলায় না। চবিতে ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নূরের ওপর হামলা, ধর্ষণ কিংবা মবের ঘটনায় এই সরকার নীরব। কিন্তু যখনই শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন হয়, তখনই প্রশাসন সুসজ্জিত হয়ে হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, শ্রমজীবী মানুষের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এখানে দাঁড়িয়েছি। ফ্যাসিবাদ একটি বিদ্যমান ব্যবস্থা। যেখানে পুঁজিপতি গোষ্ঠী শোষণের মাধ্যমে লাভ নিশ্চিত করতে চায়। কিন্তু তা হবে না। শ্রমিক হত্যার জবাব এই সরকারকে দিতে হবে। একইসাথে পাহাড়ের সেনাশাসন হটাতে হবে।

টিএইচকিউ/এমআরএম/জেআইএম

Read Entire Article