শহীদ নূর হোসেন স্মরণে ও ‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ দাবিতে ১০ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। বিপরীতে একইদিনে একই স্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে গণজমায়েতের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
পাল্টাপাল্টি এই কর্মসূচি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে নেটদুনিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে বিভিন্নজন নানা মন্তব্য করছেন। অনেকে হাস্যরসাত্মক স্টাটাস দিচ্ছেন।
কবি সালেহ রনক লিখেছেন, ‘এটা অন্যায়। ভীষণ অন্যায়! কোমলমতি ছাত্র-জনতার সাথে খুবই অন্যায় করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে পোলাপাইনদের সারারাত দৌড়ের ওপর রাখা ঠিক হয়নি। দেশের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়ে এরা কী অন্যায় করে ফেলেছে? জিরো পয়েন্টে নিজেদের উপস্থিতি জিরো রেখে এদের আর হয়রানি না করার জন্য জোর দাবি জানাই।’
আরও পড়ুন
- ‘হাসিনার পুকুরে’ মাছ ধরতে না পারার আক্ষেপ আসিফ মাহমুদের
- ফ্যাসিবাদ বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারাটা দেখেন: খোকন
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ লিখেছেন, ‘লীগের ভাইদের জন্যে ঢাকা শহরে প্রবেশের পথ উন্মুক্ত, তবে বের হওয়ার পথ খোলা থাকবে কি না তার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না, স্যরি।’
সংস্কৃতিকর্মী মোস্তফা মনন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লিখেছেন, ‘বহু বছর পর নূর হোসেন বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে।’
সাংবাদিক মানিক মোহাম্মদ ওমর হাস্যরসাত্মকভাবে লিখেছেন, ‘জার জার ওবস্তান তেকে কাইল গুলিস্তান তাকবেন। যেই দল ভারী হপে নিজেকে সেই দলের পরিচয় দিবেন।’
কথাসাহিত্যিক এহসান মাহমুদ লিখেছেন, ‘হ্যালো শুনছেন, অযথা বিরক্ত কইরেন না। শান্তি মতো খাইতে দেন। রাস্তায় নামার সময় নাই।’
এসইউ/এমএস