নেই কোনো পানিপ্রবাহ, তবু নির্মাণ হচ্ছে ৯ কোটি টাকার সেতু
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ি ইউনিয়নের খিলগাতী গ্রামে প্রায় ৯ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে একটি সেতু। অথচ এলাকাটিতে কোনো নদী, খাল, বিল বা জলাশয় নেই।
এতে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, এখানে সেতুর প্রয়োজন নেই। এটি সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় এবং সরকারি অর্থের অপচয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, যেখানে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে, সেখানে আঞ্চলিক সড়কের দুইপাশে সারি সারি বসতভিটা। সড়কটি কালিহাতী-সখীপুর আঞ্চলিক সড়ক। পানি প্রবাহের কোনো চিহ্ন, নদী, খাল বা খাড়ি চোখে পড়েনি। কেবল একটি নিচু জমি বা পুকুরসদৃশ স্থান রয়েছে, যা সেতু নির্মাণের যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। তবে সড়কে যানচলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা পারভেজ বলেন, ‘যেখানে সেতুর প্রয়োজন, সেখানে হয়নি। যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানে সেতু হচ্ছে। মনে হয়, ৫ আগস্টের আগেই অনুমোদন হয়েছে। না হলে এমন স্থানে কীভাবে সেতু হয়?’
খিলগাতীর আবুল হোসেন বলেন, ‘এখানে কোনো নদী-নালা ছিল না। দুপাশে ঘরবাড়ি। সেতুর কোনো দরকার নেই।’
স্থানীয় সিয়াম বলেন, ‘এখানে কোনো দিন খাল ছিল না। ছোট একটা পুকুর আছে। সেটিকে কেন্দ্র করে
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ি ইউনিয়নের খিলগাতী গ্রামে প্রায় ৯ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে একটি সেতু। অথচ এলাকাটিতে কোনো নদী, খাল, বিল বা জলাশয় নেই।
এতে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, এখানে সেতুর প্রয়োজন নেই। এটি সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় এবং সরকারি অর্থের অপচয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, যেখানে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে, সেখানে আঞ্চলিক সড়কের দুইপাশে সারি সারি বসতভিটা। সড়কটি কালিহাতী-সখীপুর আঞ্চলিক সড়ক। পানি প্রবাহের কোনো চিহ্ন, নদী, খাল বা খাড়ি চোখে পড়েনি। কেবল একটি নিচু জমি বা পুকুরসদৃশ স্থান রয়েছে, যা সেতু নির্মাণের যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। তবে সড়কে যানচলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা পারভেজ বলেন, ‘যেখানে সেতুর প্রয়োজন, সেখানে হয়নি। যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানে সেতু হচ্ছে। মনে হয়, ৫ আগস্টের আগেই অনুমোদন হয়েছে। না হলে এমন স্থানে কীভাবে সেতু হয়?’
খিলগাতীর আবুল হোসেন বলেন, ‘এখানে কোনো নদী-নালা ছিল না। দুপাশে ঘরবাড়ি। সেতুর কোনো দরকার নেই।’
স্থানীয় সিয়াম বলেন, ‘এখানে কোনো দিন খাল ছিল না। ছোট একটা পুকুর আছে। সেটিকে কেন্দ্র করে যদি সেতু হয়, তবে এ দেশে প্রতিটি ঘরের পাশে একটা করে সেতু বানাতে হবে।’
ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাচালক রাকিব খান বলেন, ‘এখানে ব্রিজ তৈরির কোনো যুক্তি নেই। পানি প্রবাহের পথও নেই।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা লিমিটেড’ কাজটি বাস্তবায়ন করছে। প্রতিষ্ঠানটির মনোজ বলেন, ‘ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েই নিয়মমতো কাজ শুরু করেছি।’
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমেরী কালবেলাকে জানান, ‘সেখানে পূর্বে ৩৩ মিটার দীর্ঘ একটি জরাজীর্ণ বেইলি ব্রিজ ছিল। ঘনঘন মেরামত, যানজট ও সঠিক জলপ্রবাহ নিশ্চিত করতে নতুন পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চ্যানেলের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দখল, ভরাট এবং অপরিকল্পিত নির্মাণে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সওজ জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং চ্যানেল পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’