ব্রাজিলের প্রধান কোচ কার্লো আনচেলত্তি নেইমারকে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করলেন। সে সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, শরীরের প্রতি আরও মনোযোগী হতে হবে। সে সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, যে সবাই চায় নেইমার তার সেরা ফর্মে ফিরে আসুক। ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার খেলোয়াড় বর্তমানে ফিটনেস সমস্যায় ভুগছেন, যার কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন।
প্ল্যাকার-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আনচেলত্তি বলেন, ‘না, নেইমার সম্পর্কে প্রশ্ন করা একদম স্বাভাবিক। তিনি ব্রাজিল ফুটবলের এক কিংবদন্তি। সবাই চায় নেইমার তার সেরা শারীরিক অবস্থায় ফিরে আসুক। ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ), কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড়— সবাই একই আশা করছে।’
আনচেলত্তির আশা, নেইমার চাইলে দ্রুত সেরা অবস্থানে ফিরে আসতে পারবে। তিনি বলেন, ‘আজকের ফুটবলে শুধু প্রতিভা নয়, শারীরিক সক্ষমতা ও খেলার তীব্রতা— সবকিছুই প্রয়োজন। আমি আশা করি নেইমার খুব দ্রুত তার সেরা অবস্থায় ফিরবে।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় হাঁটুর (এসিএল) ইনজুরিতে পড়েন নেইমার। সেই ইনজুরির পর থেকেই তিনি ব্রাজিল দলের বাইরে।
চলতি বছর জানুয়ারিতে ফর্ম ফিরে পাওয়ার আশায় তিনি নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে আসেন। তবে টানা ইনজুরির কারণে তিনি এখনও সম্পূর্ণ ফিট হতে পারেননি। সম্প্রতি ৪৮ দিনের বিরতির পর মাঠে ফেরেন; কিন্তু ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত বোববার ব্রাজিলিয়ান লিগে ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে সান্তোসের ৩-২ গোলে পরাজয়ের সময় ৮৫ মিনিটে তাকে তুলে নেন কোচ। কিন্তু এ ঘটনায় নেইমার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। কোচ হুয়ান পাবলো ভোইভোদার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে তিনি সরাসরি মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে চলে যান।
সান্তোসের নির্বাহী পরিচালক আলেকজান্দ্রে ম্যাতোস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেইমারের প্রশংসা করে একটি দীর্ঘ বার্তা পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘প্রতিভাবানদের সবসময়ই ভুল বোঝা হয়। তারা সময়ের আগে চিন্তা করে, আলাদা কিছু করে, ইতিহাস গড়ে; কিন্তু তারা মানুষও বটে— ভুল করে, হাসে, কাঁদে, অনুভব করে। নেইমার এমনই একজন প্রতিভা, যিনি অনেক প্রতিকূলতার পরও উঠে দাঁড়ান।’
ম্যাটোস আরও যোগ করেন, ‘তারা (সমালোচকরা) তোমাকে হারানোর চেষ্টা করে, কিন্তু পারে না। তুমি সবকিছুর চেয়ে বড়। এই ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা তোমার প্রাপ্য। কঠিন সময়ই মানুষকে শক্তিশালী করে তোলে।’
সান্তোসের হয়ে এখন পর্যন্ত নেইমার ১৫টি লিগ ম্যাচে তিনটি গোল করেছেন। দলটি বর্তমানে ব্রাজিলিয়ান সিরি-এ লিগে ১৭তম স্থানে থেকে অবনমন এড়ানোর লড়াই করছে।
নেইমারের লক্ষ্য এখন স্পষ্ট — ২০২৬ বিশ্বকাপে চতুর্থবারের মতো ব্রাজিলের জার্সি গায়ে জড়ানো। কিন্তু তার আগে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শারীরিকভাবে শতভাগ ফিট হয়ে মাঠে ফেরা।
কোচ কার্লো আনচেলত্তি নেইমারকে সতর্ক করেছেন, শুধু প্রতিভা নয়, আধুনিক ফুটবলে ফিটনেসই আসল চাবিকাঠি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নেইমার এখন ইনজুরি ও সমালোচনার মধ্যেও নিজের সেরা রূপে ফেরার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
আইএইচএস/

14 hours ago
8









English (US) ·