নেটওয়ার্ক দুর্বল, দায়ী কি ফোনের কভার?

মোবাইল ফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য সঙ্গী। কিন্তু মাঝেমধ্যে দুর্বল নেটওয়ার্ক সিগন্যাল, কল ড্রপ বা ইন্টারনেটের ধীরগতির মতো সমস্যায় আমরা বিরক্ত হয়ে যাই। সাধারণত আমরা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর বা ফোন কোম্পানিকেই দোষারোপ করি। কিন্তু জানেন কি? অনেক সময় আপনার ফোনের কভারও এই সমস্যার পেছনে দায়ী হতে পারে। সত্যিই কি কভার সিগন্যালের উপর প্রভাব ফেলে? চলুন বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জেনে নিই। প্রতিটি মোবাইল ফোনের ভেতরে থাকে একটি অ্যান্টেনা, যা রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে নিকটবর্তী মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই সিগন্যাল খুব সূক্ষ্ম, তাই অ্যান্টেনা ও টাওয়ারের মাঝখানে কোনো বাধা তৈরি হলে সিগন্যাল দুর্বল হতে পারে। বিশেষ করে যদি ফোন কভারের ভেতরে ধাতু বা চৌম্বকীয় প্লেট থাকে, তবে তা রেডিও তরঙ্গের গতি বাধাগ্রস্ত করে। ফলে সিগন্যালের একটি অংশ প্রতিফলিত বা শোষিত হয়ে যায়, এবং নেটওয়ার্ক মান কমে যেতে পারে। শুধু ধাতব কভারই নয়, অতিরিক্ত শক্ত প্লাস্টিক, রাবার বা বহু-স্তরের পুরু কভারও সিগন্যালকে কিছুটা বাধা দিতে পারে। এটি বেশি অনুভূত হয় সেই সব জায়গায়, যেখানে নেটওয়ার্ক আগে থেকেই দুর্বল যেমন লিফট, বেসমেন্ট বা দূর

নেটওয়ার্ক দুর্বল, দায়ী কি ফোনের কভার?

মোবাইল ফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য সঙ্গী। কিন্তু মাঝেমধ্যে দুর্বল নেটওয়ার্ক সিগন্যাল, কল ড্রপ বা ইন্টারনেটের ধীরগতির মতো সমস্যায় আমরা বিরক্ত হয়ে যাই। সাধারণত আমরা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর বা ফোন কোম্পানিকেই দোষারোপ করি। কিন্তু জানেন কি? অনেক সময় আপনার ফোনের কভারও এই সমস্যার পেছনে দায়ী হতে পারে। সত্যিই কি কভার সিগন্যালের উপর প্রভাব ফেলে? চলুন বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জেনে নিই।

প্রতিটি মোবাইল ফোনের ভেতরে থাকে একটি অ্যান্টেনা, যা রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে নিকটবর্তী মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই সিগন্যাল খুব সূক্ষ্ম, তাই অ্যান্টেনা ও টাওয়ারের মাঝখানে কোনো বাধা তৈরি হলে সিগন্যাল দুর্বল হতে পারে। বিশেষ করে যদি ফোন কভারের ভেতরে ধাতু বা চৌম্বকীয় প্লেট থাকে, তবে তা রেডিও তরঙ্গের গতি বাধাগ্রস্ত করে। ফলে সিগন্যালের একটি অংশ প্রতিফলিত বা শোষিত হয়ে যায়, এবং নেটওয়ার্ক মান কমে যেতে পারে।

শুধু ধাতব কভারই নয়, অতিরিক্ত শক্ত প্লাস্টিক, রাবার বা বহু-স্তরের পুরু কভারও সিগন্যালকে কিছুটা বাধা দিতে পারে। এটি বেশি অনুভূত হয় সেই সব জায়গায়, যেখানে নেটওয়ার্ক আগে থেকেই দুর্বল যেমন লিফট, বেসমেন্ট বা দূরবর্তী গ্রামাঞ্চল।

বাজারে এমন অনেক কভার পাওয়া যায়, যেগুলোকে ‘রেডিয়েশন প্রোটেকশন’ কভার হিসেবে প্রচার করা হয়। এগুলিতে এমন উপাদান ব্যবহার করা হয় যা নাকি বিকিরণের প্রভাব কমায়। কিন্তু একইসঙ্গে এগুলো সিগন্যালকেও দুর্বল করে দিতে পারে যা অনেকেই বুঝতে পারেন না।

তবে চিন্তার কারণ নেই। নরম সিলিকন, টিপিইউ বা হালকা প্লাস্টিকের কভার সাধারণত সিগন্যালের উপর তেমন প্রভাব ফেলে না, কারণ এগুলো সহজেই রেডিও তরঙ্গকে অতিক্রম করতে দেয়। আর মোবাইল কোম্পানির তৈরি আসল কভারগুলো তো ফোনের অ্যান্টেনা নকশা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয় তাই এগুলোর কারণে সিগন্যাল সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

যদি কভার সত্যিই সিগন্যাল দুর্বল করে, তবে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন-নেটওয়ার্ক বারের ঘনঘন ওঠানামা, কল ড্রপ হওয়া, ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া, ঘরের ভেতরে নেটওয়ার্ক না পাওয়া, ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়া, কারণ ফোন তখন বারবার টাওয়ার খুঁজতে থাকে

এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে বুঝবেন কভারই দায়ী? একটি সহজ পরীক্ষা করতে পারেন। প্রথমে কভার খুলে একই স্থানে নেটওয়ার্ক বার, কল কোয়ালিটি ও ইন্টারনেট স্পিড পরীক্ষা করুন। এরপর আবার কভার লাগিয়ে একইভাবে দেখুন। যদি স্পষ্ট পার্থক্য লক্ষ্য করেন, তবে বুঝবেন কভারটি সিগন্যাল দুর্বল করছে। সেই ক্ষেত্রে কভার পরিবর্তন করাই ভালো।

আরও পড়ুন
জরুরি কলে লাইভ ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন অ্যান্ড্রয়েডে
চোখের পলকে ফোনের চার্জ শেষ হচ্ছে, সমাধান করুন নিজেই

কেএসকে/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow