শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরপরই আত্মগোপনে চলে গেছেন নেত্রকোনা আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতা, এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রীরা। দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও গা ঢাকা দিয়েছেন। হামলা-মামলার ভয়ে আত্মীয়-স্বজনের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।
জেলা শহরের নাগড়া এলাকায় জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন অফিস ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান ফটক বন্ধ করে কার্যক্রম খোলা থাকলেও জনপ্রতিনিধিরা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীও কম।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অসিত সরকার সজল, পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ খান জনিসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। দায়িত্বশীল কাউকেই শহরে দেখা যায়নি।
একাধিক সূত্র জানায়, সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে থেকে শহরের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। ওইদিন বিকেলে শহরের ছোটবাজার আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুবৃর্ত্তরা। শহরের বেশ কয়েকজন নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বলেন, ‘দলীয় প্রধান, বড় নেতা, মন্ত্রী-এমপিরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আমরা কোথায় যাই? সুসময়ে তাদের পাহারা দিয়েছি, পাশে থেকেছি। দলের সংকটে দলীয় প্রধানের এভাবে পলায়ন, ঘৃণা লাগছে রাজনীতিকে।’
জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, ‘দলীয় প্রধানসহ শীর্ষ নেতা এবং এমপি-মন্ত্রীদের দেশত্যাগ, আত্মগোপনে যাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নেননি নেতাকর্মীরা। তাদের ঝুঁকিতে ফেলে এভাবে দলীয় প্রধান দেশত্যাগ করবেন কেউ ভাবেননি। সাধারণ কর্মীরা এখন হামলার শিকার হচ্ছেন। তাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে।’
এইচ এম কামাল/এসআর/জিকেএস