নেত্রকোনায় এক খামারে ২৭ গরুর মৃত্যু

3 months ago 26

নেত্রকোনার পূর্বধলায় একটি খামারে ষাঁড়, গাভি, বাছুরসহ ২৭টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নেপিয়ার ঘাস খেয়ে এসব গরুর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৯ জুন) থেকে মঙ্গলবার (১১ জুন) রাত পর্যন্ত পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া গ্রামের তাহাযিদ অ্যাগ্রো ফার্মে এ ঘটনা ঘটে।

খামারের মালিক জাহেরুল ইসলাম বলেন, ‘তার খামারে দুই শতাধিক ছোট-বড় গরু আছে। এরমধ্যে ষাঁড় বেশি। কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে তিনি ষাঁড়গুলো বিক্রির প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় তার নিজস্ব ক্ষেত থেকে নেপিয়ার জাতীয় কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর পরই গরুগুলো অসুস্থ হতে শুরু করে। পরদিন রোববার দুপুর থেকে একের পর এক গরু মারা যেতে থাকে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে একটি ষাঁড় মারা যায়। এ নিয়ে খামারের ২৭টি গরু মারা গেছে। এরমধ্যে দুটি দুধের গাভি ও দুটি বাছুর ছাড়া অন্য ২৩টি ষাঁড়।’

তিনি বলেন, ‘ওই দিন বাড়িতে না থাকায় খামার দেখাশোনা করার লোকজন ক্ষেত থেকে কচি ঘাস কেটে সঙ্গে সঙ্গে গরুগুলোকে খেতে দেওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। সাধারণত নেপিয়ার ঘাস আগের দিন কেটে রেখে পরদিন দেওয়া হতো। অথবা দুই ঘণ্টার মতো রোদে রেখে প্রাণীগুলোকে খেতে দেওয়া হতো। খামারের ২০৩টি গরুর মধ্যে অন্তত ৫০টি গরুকে এ ঘাস খেতে দেওয়া হয়েছিল। মারা যাওয়ার পর খামারে এখনো চারটি গরু অসুস্থ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা এসে মৃত গরুগুলো নমুনা ও ঘাসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল আমার। কী করব, কিছুই বুঝতে পারছি না। ঋণ করে খামারটি করেছিলাম।’

পূর্বধলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এম এম এ আউয়াল তালুকদার বলেন, ‘বৃষ্টির সময় কচি ঘাসে নাইট্রোজেনের মাত্রা বেশি থাকে। নাইট্রেট বিষক্রিয়ায় গরুগুলো মারা যেতে পারে। ঘাসের নমুনা ও মারা যাওয়া গরুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে। এ ব্যাপারে খামারির সঙ্গে অধিদপ্তরের মেডিকেল দল সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ খোঁজখবর রাখছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খামারিদের গরুকে শুধু কাঁচা ঘাস দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এছাড়া নেপিয়ার ঘাস কাটার সঙ্গে সঙ্গে গরুকে খেতে দেওয়া উচিত নয়।’

এইচএম কামাল/আরএইচ/জিকেএস

Read Entire Article