নেপালে ভয়াবহ সহিংসতার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজধানী কাঠমান্ডুর রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিক্ষোভ দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে সহিংস রূপ নেয় দেশটিতে। এক পর্যায়ে সরকারি দমন-পীড়নে অন্তত ১৯ জন নিহত হন এবং বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন।
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। ক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন সরকারি ভবন, রাজনীতিবিদদের বাসভবন, সুপারমার্কেটসহ বহু স্থাপনায় আগুন দেয়।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এএফপি এক প্রতিবেদক জানিয়েছেন, কাঠমান্ডুতে এখনো জ্বলতে থাকা ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যাচ্ছে। রাস্তায় পুড়ে যাওয়া গাড়ি ও টায়ারের অবশিষ্টাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
সেনাবাহিনী সতর্ক করে বলেছে, যে কোনো কর্মকাণ্ড যা দেশকে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিতে পারে, তা থেকে বিরত থাকতে হবে। ৩ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার হিমালয়কেন্দ্রিক এ দেশটিতে হঠাৎ এই সহিংসতা বহু মানুষকে হতবাক করেছে।
একজন সেনাসদস্য বলেন, আজ শহর অনেকটাই শান্ত, সব জায়গায় সেনা মোতায়েন রয়েছে। তবে তিনি গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ করেননি।
সহিংসতার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা চারবারের প্রধানমন্ত্রী ও কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ৭৩ বছর বয়সী কেপি শর্মা ওলির বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে ওলি পদত্যাগ করেন, যাতে রাজনৈতিক সমাধানের পথ সুগম হয়। তবে তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
সূত্র: এএফপি
এমএসএম