বলিউড অভিনেত্রী ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার প্রাজক্তা কলি গত বছর নেপালের ছেলে বৃষাঙ্ক খনালকে বিয়ে করেছেন। তার শ্বশুরবাড়ির সবাই থাকেন নেপালে। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই নেপালের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেখে উদ্বেগে প্রাজক্তা। এমনকি স্বামী বৃষাঙ্কের জন্মদিন উদযাপনের জন্য নেপালে যাওয়ার কথা ছিল তার। তবে সেই সফর আপাতত বাতিল করলেন তিনি।
প্রাজক্তা জানান, নেপালে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে আনন্দ করার মানসিকতা নেই। সেখানকার মানুষদের জন্য দুশ্চিন্তা হচ্ছে তার। এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘নেপালে যা হচ্ছে, দেখে মর্মাহত আমি। যে সব পরিবারকে এই দুর্ঘটনার সাক্ষী হতে হল, তাদের জন্য চিন্তিত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখানে যেতে চাই ও তাদের কথা শুনতে চাই। হয়তো এটা সঠিক সময় নয়। তবু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখানে যাব।’
নেপালের এমন অস্থির পরিস্থিতিতে স্বস্তিতে নেই সেখানকার ভূমিকন্যা অভিনেত্রী মনীষা কৈরালাও। তিনি বলেন, ‘এটা নেপালের ইতিহাসে কালো দিন, যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ নিয়ন্ত্রণে পাল্টা বুলেট ছোড়া হয়।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সোমবার এবং মঙ্গলবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় নেপালে। কাঠমান্ডু থেকে বিদ্রোহের সূত্রপাত হলেও তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে নেপালজুড়ে। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান আন্দোলকারীরা।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের আগুনে পুড়তে থাকে নেপালের পার্লামেন্ট ভবন। সে দেশের সুপ্রিম কোর্টেও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এই মুহূর্তে নেপালের শাসনভার সেনা দখলে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
এমএমএফ/এলআইএ/এমএস