নেপালের বিপক্ষে প্রথম জয় আর প্রথম শিরোপার প্রত্যাশা

1 month ago 26

ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলেও নেপালকে হারিয়ে শিরোপা জেতা সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিততে হলে ২০১৫ সাল থেকে হয়ে আসা এই টুর্নামেন্টে নেপালের বিপক্ষে প্রথম জয়টাও পেতে হবে। বাংলাদেশের কাছে নেপাল যে এখনো অজেয়!

নেপালের মাটি বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য পয়মন্ত। এসএ গেমস ফুটবলে বাংলাদেশ প্রথম স্বর্ণ জিতেছিল কাঠমান্ডুতে। মেয়েদের সাফের প্রথম ট্রফিটিও আসে এই নেপাল থেকে। এর বাইরে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ছেলে ও মেয়েদের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নেপালের মাটিতে। এবার আরো একটি সাফল্যের প্রত্যাশায় বুক বেঁধে আছেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা।

আগামীকাল (বুধবার) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৩ টায় কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নেপাল। এই টুর্নামেন্টে একই গ্রুপে ছিল দুই দল। সে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল স্বাগতিক নেপাল।

বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেটি ছিল অনূর্ধ্ব-১৯। কাঠমান্ডুতে গ্রুপপর্বে বাংলাদেশ হেরেছিল ২-১ গোলে। ২০১৭ সালে টুর্নামেন্ট হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৮ বয়সের। খেলা হয়েছিল ভুটানে। বাংলাদেশ ২-১ গোলে হেরে যায় নেপালের কাছে। ওই হারেই বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।

২০১৯ সালে নেপালে হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট। ওই আসরে বাংলাদেশ ও নেপালের দেখা হয়নি। ২০২২ সালে ভারতের ভুবনেশ্বরে হওয়া অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ। ২০২৩ সালে কাঠমান্ডুতে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে দেখা হয়নি নেপালের বিপক্ষে।

এবারের গ্রুপ পর্বসহ চারবার দেখা হয়েছে বাংলাদেশ ও নেপালের। তিনবার জিতেছে নেপাল, এক ম্যাচ হয়েছে ড্র। অর্থাৎ বাংলাদেশ কখনো নেপালকে হারাতে পারেনি।

ঘরের মাঠে খেলা, বাংলাদেশের বিপক্ষে না হারার রেকর্ড- এই পরিসংখ্যানগুলো বুধবারের ফাইনালে নেপালকেই এগিয়ে রাখছে। তবে ফুটবলে সব সময় সব সমীকরণ মেলে না, পুরনো পরিসংখ্যানও কাজে আসে না।

সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। কোচ মারুফুল হক মনে করছেন, শুরু থেকেই তার দল সঠিক পথে আছে। নেপালকে সমীহ করেই বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘নেপালের স্কোয়াডটা ভালো। খেলোয়াড়রা এই মাঠে খেলেই বড় হয়েছে। তাদের মাঠটি হাতের তালুর মতো পরিচিত। সবকিছু বিবেচনা করে আমরা যদি খেলোয়াড়দের ফুল ফিটভাবে মাঠে রাখতে পারি এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি তাহলে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবো।’

নিয়মিত অধিনায়ক গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৬৫ মিনিটে আহত হয়ে মাঠ ছেড়ে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেছেন। ফাইনালে অধিনায়কত্ব করবেন আশরাফুল হক আসিফ। তিনি ফাইনাল নিয়ে বলেছেন, ‘নেপাল ভালো দল। তারা ফাইনালে উঠেছে। আমরাও ফাইনালে উঠেছি। তারা স্বাগতিক মাঠ ও দর্শক সুবিধা পাবে। তবে ভারতকে হারানোর পর আমরা সবাই চাঙ্গা আছি। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলবো।’

আরআই/আইএইচএস/

Read Entire Article