নোয়াখালীতে একদিনে ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

3 months ago 10

নোয়াখালীতে একদিনে ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে হাঁটুপানি জমেছে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, বেড়েছে তীব্র নদী ভাঙন।

শুক্রবার (৩০ মে) সকালে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দিনভর অব্যাহত থাকতে পারে বৃষ্টি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বুধবার থেকে হাতিয়ায় নৌ-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে দ্বীপের সাত লাখ লোক বন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া অতিরিক্ত জোয়ারে উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

নোয়াখালীতে একদিনে ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলা উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, তবে নিম্নাঞ্চলের পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় নৌ-চলাচল উপযুক্ত নয়। জোয়ারে রাস্তাঘাট ও দমকা হাওয়ায় কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা নষ্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দ্বীপের যাতায়াত বন্ধ হয়ে লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। জেলা শহর মাইজদীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শনিবারের (৩১ মে) অনার্সের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য হাতিয়ার ২৪০ জনের অধিক পরীক্ষার্থী যেতে পারছেন না। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাতিয়া যাওয়ার জন্য চেয়ারম্যান ঘাটে আটকা পড়েছেন শত শত যাত্রী। মো. আবদুর রহিম নামে একজন জানান, তারা একটি মরদেহ নিয়ে হাতিয়া যাওয়ার পথে ঘাটে আটকা পড়েছেন। এছাড়া যাতায়াত বন্ধ থাকায় ৩-৪শ যাত্রী ঘাটে অপেক্ষা করছেন।

নোয়াখালীতে একদিনে ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

স্পিডবোটের চালক মাহফুজ আলম জাগো নিউজকে বলেন, নৌ-পুলিশের অনুমতি না পেলে হাতিয়া রুটের কোনো নৌযান চলাচল করবে না। প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতে সব ধরনের নৌযানের চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে বেড়িবাঁধ না থাকায় অতিরিক্ত জোয়ারে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ এলাকা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। অপরদিকে প্রবল জোয়ারে দ্বীপ হাতিয়াসহ উপকূলীয় উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সূবর্ণচর এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত শুকনো ও শিশুখাদ্য মজুত রাখা হয়েছে। এছাড়া নগদ ১৫ লাখ টাকা ও ৩০০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/জেডএইচ/এমএস

Read Entire Article