নোয়াখালীতে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু

3 months ago 51

কোরবানি উপলক্ষে নোয়াখালীতে এক লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৮ পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। জেলায় চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৮৩ পশু। অর্থাৎ জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে ৩০ হাজার ৩৯৫ পশু।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় জেলার খামারিরা চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন। এরমধ্যে ষাঁড় রয়েছে ৫৩ হাজার ৪০৪টি, বলদ ৩৭ হাজার ৮৯২টি, গাভি ১৩ হাজার ৭৮৮টি, মহিষ সাত হাজার ৪৭৬টি, ছাগল ৪২ হাজার ৩১৬টি, ভেড়া ১২ হাজার ৫০০টি ও অন্যান্য পশু দুটি।

নোয়াখালীতে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু

কোম্পানীগঞ্জের খামারি মো. ফয়সাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার আমি ২২টি গরু লালন-পালন করেছি। তবে আগের তুলনায় খাদ্য, ওষুধ ও ভ্যাকসিনের চড়া মূল্যের কারণে খরচ অনেক বেশি পড়েছে। এজন্য গরুর দাম আগের তুলনায় একটু বেশি।’

তিনি বলেন, যারা দেশি গরু দিয়ে কোরবান দেন তারা দাম একটু বেশি হলেও এসব গরুই পছন্দ করবেন।

নোয়াখালীতে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু

দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের খামারি আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই পশুপালনের প্রতি শখ ছিল। তবে বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড হওয়ায় সেভাবে সুযোগ হয়ে ওঠেনি। দুর্গম এ অঞ্চলে খামার দেওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তারপরও আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। এবারও কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করেছি।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাসলীমা ফেরদৌসী জাগো নিউজকে বলেন, সরকার পশুসম্পদ উৎপাদনে আন্তরিক। আমরা সরকারিভাবে খামারিদের নানাভাবে তদারকি করায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পশু উৎপাদন বেশি হয়েছে।

নোয়াখালীতে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বৃহত্তর নোয়াখালীর (নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর) উপ-পরিচালক ডা. আবদুর রহিম বলেন, নোয়াখালীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে আক্রান্ত হয়। এছাড়া এলাকাটি নিচু হওয়ায় পশুপালন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও খামারিরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবার ভালো উৎপাদন করেছে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জেআইএম

Read Entire Article