নোয়াখালীতে ত্রাণ লুটকারী সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার

1 month ago 36

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ লুটের ঘটনায় অভিযুক্ত নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় কবিরহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাতের রহমান হাসান সই করা বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।

জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক টপিও বহিষ্কারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

মো. একরামকে উদ্দেশ করে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আপনি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকায় দলীয় প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে বহিষ্কার করা হলো। বিএনপির নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন ও সদস্য সচিব মো. কামাল হোসেন সৌরভ এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।’

অবগতির জন্য বিবৃতির কপি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদককেও দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এরআগে বুধবার বিকেলে ‘ত্রাণ লুটে নিলেন বিএনপি নেতা, উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগো নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যার্তদের দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ত্রাণ নিয়ে নোয়াখালীর কবিরহাটে যান। কিন্তু সেখানে শিক্ষার্থীদের ত্রাণের গাড়ি দলবল নিয়ে আটকে দেন বিএনপি নেতা একরাম। পরে তিনি ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ লুট করে নেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে লুট হওয়া ত্রাণ উদ্ধার করে ছাত্রদের ফিরিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারে ওই ত্রাণ লুটের ঘটনা ঘটে। এসময় মো. সৌরভ (১৮) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। আটক সৌরভ সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জাহের হোসেনের ছেলে। হামলায় মাঈন উদ্দিন আকাশ (১৬) ও নিহাদ (১৬) নামের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

একরাম সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও কালামুন্সি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি।

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জিকেএস

Read Entire Article