নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভা ও ফায়ার সার্ভিসে অগ্নিসংযোগসহ দুই সংসদ সদস্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে চৌমুহনী গ্লোব সফটড্রিংস ও মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গ্লোবের মালিক নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন ও মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের মালিক নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম।
এর আগে দুপুরে নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিথুন ভট্ট ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্টর মাইজদীর বাড়িতে হামলা করা হয়। এসময় পাঁচটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বিকেলে একদল দুর্বৃত্ত চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসে হামলা চালিয়ে গাড়িসহ কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও আসবাবপত্রে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এসময় ২০ জন ফায়ার কর্মীকে পিটিয়ে তাদের টাকা মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়।
এমপি কিরনের ব্যক্তিগত সহকারি মো. মহিউদ্দিন জানান, কয়েশ সন্ত্রাসী গ্লোবের সফট ড্রিংসের প্রধান কার্যালয় ও মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সে ভাঙচুর এবং চৌমুহনী পৌরসভায় অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়।
নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিথুন ভট্ট জাগো নিউজকে বলেন, দুপুরে সহস্ত্রাধিক সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পাঁচটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
এছাড়া সকাল থেকে মাইজদী পুলিশ বক্স, বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদ, বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়।
এদিকে সকাল ১০টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা পৌর বাজারে জড়ো হলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এসময় আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় তারা পালিয়ে যান। পরে শিক্ষার্থীরা সুধারাম থানার সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় সেনা সদস্যরা এগিয়ে এসে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অনুরোধ জানান।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আসাদু্জামান জাগো নিউজকে বলেন, নোয়াখালীতে পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে। আমরা চাই কোনো প্রাণহানি যেন না ঘটে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর