নোয়াখালীতে বিএনপি-শিবির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ

2 hours ago 2

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ইসলামী বিএনপি ও শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের ২৫ আহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার এলাকার একটি মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ১৮ অক্টোবর কাশেমবাজার মসজিদে কোরআন শিক্ষা ক্লাসের আয়োজন করে শিবির। সেই ক্লাস চলাকালে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতির নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠে। পরে রোববার দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে শিবিরের নেতাকর্মীরা। এরপর এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিকেলে একই মসজিদে দারসুল কোরআন প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। সেখানেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আছরের নামাজের পর দারসুল কোরআন শুরু হলে মসজিদের বাইরে বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দেন। এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় মসজিদের ভেতরে ছাত্রশিবির সদস্যরা অবস্থান নেন, আর বাইরে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ ও স্লোগান দিতে থাকেন। ঘটনাস্থলে স্বল্পসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়। আর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কোরআন ক্লাসে বিএনপি হামলা চালিয়েছে। আমাদের ভাইয়েরা মসজিদে আহত হন। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে। মসজিদে বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে।

অন্যদিকে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল অভিযোগ করে বলেন, নামাজ শেষে মসজিদ থেকেই হামলা হয়েছে। যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুকের দুই ভাইসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মসজিদের ভেতর থেকে বারবার হামলা চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এনএইচআর/জিকেএস

Read Entire Article