নোয়াখালীতে সাড়ে ১১ হাজারে বিক্রি হলো এক জোরা দুই ইলিশ

3 weeks ago 16

নোয়াখালীর হাতিয়ায় জেলের জালে ধরা পড়া দুই ইলিশ সাড়ে ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে প্রায় ৫ কেজি ওজনের মাছ দুটি চেয়ারম্যান ঘাট মৎস্য আড়তে বিক্রি করা হয়।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের রামগতির জেলে মো. বাহার উদ্দিন মেঘনা নদীতে ভোরে জাল ফেলেন। কয়েক ঘণ্টা পর সেই জাল তুলে আনেন। এসময় বেশ কিছু ছোট ও মাঝারি ইলিশের সঙ্গে বড় আকারের দুটি ইলিশ ধরা পড়ে।

পরে মাছ দুটির ভালো দাম পেতে চেয়ারম্যান ঘাটের মাছ বাজারে নিয়ে যান জেলে মো. বাহার উদ্দিন। সেখানে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী কয়দর আলী ভাণ্ডারী সাড়ে ১১ হাজার টাকায় মাছ দুটি কিনে নেন।

জেলে মো. বাহার উদ্দিন বলেন, ‘সাগরে পোয়া মাছ পাইছি, ইলিশ পাইছি। এর মধ্যে দুইটা বড় রানি ইলিশ পাইছি, যা ভালো দামে বিক্রি করছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব খুশি।’

আরও পড়ুন-

মৎস্য ব্যবসায়ী কয়দর আলী ভাণ্ডারী বলেন, ‘৫ কেজি ওজনের দুটি মাছ সাড়ে ১১ হাজার টাকায় কিনেছি। ঢাকায় পার্টি আছে, তাদের কাছে পাঠাবো। এই মৌসুমে এত বড় ইলিশ ধরা পড়েনাই। মাছ দুটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।’

মো. আকবর হোসেন চেয়ারম্যান ঘাটের এক মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা নৌকা নিয়ে পাড়ে অপেক্ষা করছেন। বর্তমানে মাছের আকাল রয়েছে। যার ফলে জেলে, ব্যবসায়ী, আড়তদার, শ্রমিক সবাই ঋণে জর্জরিত। কেউ মাছ পাচ্ছেন আবার কেউ কেউ পাচ্ছেন না। তবে মাছ পেলে সবার মুখে হাসি ফুটতো।

হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, প্রায়ই বড় বড় মাছ পাওয়া যায় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। মৎস্য সংরক্ষণে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সময়ের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করায় নদীতে বড় আকৃতির মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করছি সামনে জেলেরা সাগরে বড় আকৃতির মাছ আরও বেশি বেশি পাবেন। যা জেলেদের মুখে হাসি ফোটাবে এবং বাজারেও সাড়া ফেলবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এমএস

Read Entire Article