সড়ক দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ড ভেঙে পঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুর দোবিলা গ্রামের মো. মুকুল আক্তার। ছোট ছোট দুই কন্যা সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
মুকুল আব্দালপুর আল আরাফা কোচিংয়ের সাবেক শিক্ষক। তার একটি কন্যা সন্তানের বয়স ৬ বছর ও অপরটির ২ বছর।
মুকুল আক্তার জানান, ২০২৩ সালের ১১ মার্চ সড়ক দুর্ঘটনায় তার মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। এরপর রাজশাহী মেডিকেলে অস্ত্রোপচার করা হয়, কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় জায়গা-জমি বিক্রি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে নিউরো রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি হয়ে থাকতে হবে। সামর্থ্য না থাকায় দেশে চলে আসেন তিনি।
তিনি বলেন, দুই বছর পঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে আছি। অর্থের অভাবে আর ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া হয়নি। প্রসাব, পায়খানা সবকিছু বিছানাতেই করতে হয়।
মুকুল আক্তার বলেন, সবশেষ একটি কোম্পানিতে চাকরি করতাম। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হওয়ার পর এখন আর কোনো কাজ করতে পারি না। আমার মা আট বছর ধরে প্যারালাইসিস হয়ে পড়ে আছেন। মা চলাফেরা করতে পারেন না। সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলাম আমি। এখন আমার বৃদ্ধ বাবা ছাড়া আমাদের দেখার মতো কেউ নেই।
ভায়না ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মুকুল আক্তারকে আমি চিনি। সে দীর্ঘদিন ধরে পঙ্গু হয়ে পড়ে আছে। দেশবাসীর কাছে তার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতার অনুরোধ করছি।
এ ছাড়াও কর্মহীন মুকুল আক্তারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
মুকুল আক্তারকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা :
মো. মুকুল আক্তার, পিতা : মো: বাবুল মৃধা, গ্রাম : দোবিলা, এক নম্বর ভায়না ইউনিয়ন, পোস্ট অফিস : জোড়াদাহ, থানা : হরিনাকুন্ডু, জেলা : ঝিনাইদহ।
সহায়তা পাঠানোর নম্বর : ০১৭০৭ ৩০২ ৮২২ বিকাশ/নগদ (পার্সোনাল)